Advertisement
১১ মে ২০২৪
Anubrata Mandal

পুরভোট নয়, অনুব্রতর নজরে বিধানসভা ভোট

মঙ্গলবার বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত দলীয় বৈঠক শেষে এমন কথা জানালেন অনুব্রত নিজেই। 

বোলপুর গীতাঞ্জলিতে তৃণমূলের বর্ধিত সভায়। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

বোলপুর গীতাঞ্জলিতে তৃণমূলের বর্ধিত সভায়। ছবি: বিশ্বজিৎ রায়চৌধুরী

নিজস্ব সংবাদদাতা 
বোলপুর শেষ আপডেট: ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০২:৫৩
Share: Save:

পুরসভা নয়, জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল এখন নাকি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচন নিয়েই ভাবছেন। মঙ্গলবার বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে আয়োজিত দলীয় বৈঠক শেষে এমন কথা জানালেন অনুব্রত নিজেই।

তৃণমূল সূত্রে খবর, ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচি সম্ভাবত শেষ হচ্ছে। ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শ মতো নতুন কোনও কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে। সেটা নিয়েই ২ তারিখে কলকাতার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে বৈঠক ডেকেছেন দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রতিটি জেলার নেতৃত্ব তো থাকছেনই, সেই বৈঠকে হাজির থাকতে হবে প্রতিটি জেলার সব স্তরের নেতাদের। বিধায়ক-সাংসদ, মন্ত্রী থেকে ব্লক সভাপতি, প্রধান, অঞ্চল সভাপতি, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, পুরসভার পুরপ্রধান উপপুরপ্রধান, জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ সকলকেই।

কে, কখন কী ভাবে সে দিন কলকাতা পৌঁছবেন তার খোঁজ নিতে মঙ্গলবার বোলপুরের গীতাঞ্জলি হলে সব স্তরের নেতাকর্মীকে বৈঠকে ডেকেছিলেন অনুব্রত। সেখানে প্রত্যেকের জন্য বারকোড দেওয়া একটি করে পরিচয় পত্র দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েই পুরভোট নিয়ে কথাগুলো বলেন অনুব্রত। অনুব্রত বলছেন, ‘‘পুরসভায় যা উন্নয়ন হয়েছে যা কাজ হয়েছে, তাতে পুরভোটের ফল নিয়ে পুরপ্রধানরা চিন্তা করবেন। প্রার্থী পদ নিয়েও এখনও কোনও আলোচনা হয়নি।’’

তবে দলের অন্দরের খবর, সংবাদমাধ্যমের কাছে পুরভোট প্রসঙ্গ হাল্কা চালে নিলেও, দলের বৈঠকে জেলার যে পাঁচটি পুরসভায় ভোট রয়েছে, সেই এলাকার নেতাদের স্পষ্ট করে দিয়েছেন কারও যদি জনভিত্তি না থাকে তা হলে তিনি বর্তমান কাউন্সিলর হলেও টিকিট পাচ্ছেন না। প্রসঙ্গত, জেলার পুর এলাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে এই নিয়ে সমীক্ষাও চালাচ্ছে পিকে-র টিম। উপস্থিত পুরসভার নেতাদের একাংশ মনে করাচ্ছেন, ‘‘টিকিট পাওয়ার ক্ষেত্রে সেটা বড় বিষয় হতে যাচ্ছে। সেটা দাদার কথাতেই স্পষ্ট।’’

অন্য দিকে, প্রতিটি পঞ্চায়েতকে অনুব্রতর তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে চতুর্দশ অর্থ কমিশনের টাকা যত দ্রুত সম্ভব খরচ করতে হবে। হাতে বেশি সময় নেই। একই ভাবে ১০০ দিনের কাজের নির্মাণ সামগ্রী বাবদ প্রাপ্য ৯৬ কোটি টাকায় জেলার প্রতিটি গ্রাম পঞ্চায়েত যে প্রকল্পগুলি নিয়েছে সেগুলিও দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন অনুব্রত।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE