এক জন সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত। অন্য জনের তৃণমূলের সঙ্গে সম্পর্ক চুকে গিয়েছে। দু’জনে এ বার আসতে চলেছেন এক ছাতার নীচে!
রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা বিধায়ক আব্দুর রেজ্জাক মোল্লা সিপিএম থেকে বহিষ্কারের পরে এখন ‘ভারতীয় ন্যায়বিচার পার্টি’ গড়েছেন। তাঁর সেই দলেই যোগ দিতে চলেছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা আসিফ খান! ন্যায়বিচার পার্টির তরফে আসিফকে যোগদানের প্রস্তাব দিয়ে চিঠিও পাঠানো হয়েছে।
আসিফ বলেন, ‘‘আমি চিঠি পেয়েছি। রেজ্জাক সাহেবের সঙ্গে ওই দলে যোগ দেওয়ার বিষয়ে একাধিক বার বৈঠক হয়েছে। ওই সংগঠনে যোগ দিতে আগ্রহী।’’ আসিফের যোগদানের প্রস্তাব কবুল করছেন রেজ্জাকও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওঁর বিরুদ্ধে কিছু ফৌজদারি মামলা আছে। সরকার মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে বলে শুনেছি। সবটাই বিবেচনা করছি।’’
বছরখানেক আগে তৃণমূলের প্রাক্তন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক মুকুল রায়ের ছায়াসঙ্গী আসিফ তৃণমূলের উত্তরপ্রদেশের পর্যবেক্ষক থাকাকালীন দল ছেড়ে দিয়েছিলেন। তার পরেই মুখ খুলে সারদা-কাণ্ডে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ তৃণমূলের একাধিক নেতা-মন্ত্রী জড়িত বলে অভিযোগও তুলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী ও মুকুলের বিরুদ্ধে মুখ খোলায় তাঁকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তার পরেই একের পর এক মামলায় আসিফ গ্রেফতার হন। এখন তিনি জামিনে মুক্ত। সারদা মামলায় আসিফ সাক্ষী হয়েছেন। সারদা রিয়েলটি’র মামলায় সিবিআইয়ের তরফে তাঁর জবানবন্দি চার্জশিটে পেশ করা হয়েছে।
একান্ত আলোচনায় তৃণমূলের একাংশ মানছে, আসিফ উত্তরপ্রদেশে দলের পর্যবেক্ষক ছিলেন। কিন্তু সংখ্যালঘু নেতা হিসাবে মুকুলের ছায়াসঙ্গী থাকায় তৃণমূলের অন্দরের অনেক খবরই তাঁর জানা। এমতাবস্থায় রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে রেজ্জাকের দলে আসিফ যোগ দিলে তা তাৎপর্যপূর্ণ হবে বলেই শাসক দলের একাংশের অভিমত। ইদানীং নানা সভা-সমাবেশেই সংখ্যালঘু সংগঠনের নেতারা রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করছেন। আর রেজ্জাকের ন্যায়বিচার পার্টি গড়ারও ঘোষিত লক্ষ্য সংখ্যালঘু ও অনগ্রসরদের উন্নয়নের স্বার্থে লড়াই করা। রেজ্জাকেরা বিধানসভা ভোটে রাজ্যের সব আসনে প্রার্থী দেবেন বলেও স্থির করেছেন। সেই প্রেক্ষিতে রেজ্জাক ও আসিফের জুটি তৃণমূলের সংখ্যালঘু ভোটব্যাঙ্কে থাবা বসাতে পারে বলে আশাবাদী ন্যায়বিচার পার্টি। তাতে কিছুটা হলেও শাসক দলের বিপাকে পড়ার সম্ভাবনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy