পূর্ণেন্দু বসু।— ফাইল চিত্র।
অন্য দিনের মতো বুধবারও সকাল সাড়ে ১০টার মধ্যে নবান্নে নিজের দফতরে পৌঁছে গিয়েছিলেন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। ফাইলপত্র নিয়ে বসে ছিলেন দফতরের অফিসাররা। বেলা ১১টা নাগাদ মন্ত্রীর ঘর থেকে বেরিয়ে অফিসাররা দেখেন, মন্ত্রীর আপ্ত সহায়ক স্বরাষ্ট্র দফতরের বিজ্ঞপ্তি হাতে দাঁড়িয়ে। তাতে বলা হয়েছে, কৃষি থেকে সরিয়ে পূর্ণেন্দুবাবুকে কারিগরি শিক্ষামন্ত্রী করা হয়েছে। কৃষির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান দফতরের মন্ত্রী আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
ওই অফিসারদের এক জন বলেন, ‘‘ফাইল নিয়ে আলোচনার সময় মনে হয়নি দফতর বদলের বিষয়টি মন্ত্রী জানেন।’’ বদলির নির্দেশ দেখে আর সময় নষ্ট করেননি পূর্ণেন্দুবাবু। ব্যক্তিগত জিনিসপত্র গোছাতে শুরু করেন। এরই মধ্যে দফতরের অফিসারেরা তাঁর বিদায় সংবর্ধনার বন্দোবস্ত করেন। বেলা ২টো নাগাদ নবান্ন ছাড়েন পূর্ণেন্দুবাবু।
আরও পড়ুন: কাউকে তোষণ করি না, বললেন মমতা
কেন দফতর বদল? শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পূর্ণেন্দুবাবু কৃষিতে ভাল কাজ করেছেন। কারিগরি শিক্ষা দফতরে এখন কর্মদক্ষতার প্রচুর প্রকল্প চলছে। সেই কাজ যাতে আরও ভাল ভাবে হয় সেই কারণেই তাঁকে ওই দফতরে পাঠানো হয়েছে।’’ যদিও একটি সূত্র জানাচ্ছে, পূর্ণেন্দুবাবুর বিধানসভা এলাকা থেকে বেশ কিছু অভিযোগ দল ও প্রশাসনের সর্বোচ্চ স্তরে জমা পড়েছিল। তাই কম গুরুত্বপূর্ণ দফতর দিয়ে তাঁকে সতর্ক করা হলো। অন্য একটি সূত্র বলছে, জৈব চাষে বেশি গুরুত্ব দেওয়ায় মুখ্যমন্ত্রীর কৃষি পরামর্শদাতা প্রদীপ মজুমদারের সঙ্গে তাঁর মনোমালিন্য হচ্ছিল। প্রদীপবাবুর অবশ্য দাবি, ‘‘মন্ত্রীর সঙ্গে কোনও মতভেদ ছিল না।’’ পূর্ণেন্দুবাবু দফতর বদল নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি।
অসীমা পাত্রকে এ দিন কারিগরি শিক্ষা দফতর থেকে সরিয়ে পরিকল্পনা ও পরিসংখ্যান এবং অনগ্রসর উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy