বাবুল সুপ্রিয়। নিজস্ব চিত্র।
দু’জনেই পশ্চিমবঙ্গ থেকে নির্বাচিত সাংসদ। দু’জনেই রাজনীতিতে আসার আগে থেকে নিজের নিজের ক্ষেত্রে বিখ্যাত। দু’জনেই আপাতত দিল্লির রাজনীতিতে বাংলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুখগুলির অন্যতম। কিন্তু তাঁরা রয়েছেন পরস্পরের একেবারে উল্টো শিবিরে। ফলে সংসদ পরিসরে তাঁদের পারস্পরিক আদান-প্রদান কতটা ‘মধুর’, তা কারও অজানা নয়। নিরন্তর খোঁচা-পাল্টা খোঁচার সেই সম্পর্ক ছুটির দুপুরে অন্য মাত্রায় পৌঁছল। দিল্লিতে বসে রবিবার তৃণমূলের জন্য নতুন ভিডিয়ো সিরিজের সূচনা করলেন রাজ্যসভার তৃণমূল দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। আর বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে দিল্লির বাসভবনের ছাদে দাঁড়িয়েই ডেরেকের সেই ভিডিয়োকে তীব্র কটাক্ষ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়।
ডেরেক ও’ব্রায়েনের নাম এক বারও উচ্চারণ করলেন না বাবুল। কিন্তু ডেরেক এ দিন ‘সোজা বাংলায় বলছি’ নামের যে ভিডিয়ো সিরিজের সূচনা করেছেন, তার দিকে স্পষ্ট ইঙ্গিত করলেন বাবুল সুপ্রিয়। বললেন, ‘‘রোববার দুপুরে একদম খাঁটি বাঙালির মতো টিশার্ট পরে খুব ক্যাজুয়ালি, কিন্তু সিরিয়াসলি বলছি, সোজা বাংলায় বলছি— টিএমসি হঠাও, মমতাদিদি হঠাও, বাংলা বাঁচাও।’’
তৃণমূলের প্রতীক বা নাম ব্যবহার করা হয়নি এই ‘সোজা বাংলায় বলছি’ নামের ডিজিটাল প্রচারাভিযানে। এর সূচনা করে ডেরেক আনন্দবাজার ডিজিটালকে জানান, বাংলায় এই ভিডিয়ো তৈরি করতে তাঁকে বেশি খাটতে হয়েছে, কিন্তু বাংলায় তৈরি করতে পেরেছেন বলে বেশি খুশি। বাবুল এ দিনের পাল্টা ভিডিয়োয় নিজেকে ‘খাঁটি বাঙালি’ বলে উল্লেখ করে ডেরেকের সেই মন্তব্যকেই কটাক্ষ করলেন কি? প্রশ্ন ভাসছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে।
আরও পড়ুন: সোজা বাংলায় বলছি: দলের নাম-প্রতীক সরিয়ে অভিনব প্রচার তৃণমূলের
আরও পড়ুন: সাত মাসে আড়াই হাজারেরও বেশি বার অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন পাকিস্তানের
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy