এই পানশালা চলার অনুমোদন নেই বলে অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
পার্ক চালানোর অনুমোদনের সময়সীমা আগেই পেরিয়েছে। এ বার অনুমোদন ছাড়া পার্কের মধ্যে পানশালা চালানোর অভিযোগ উঠল একটি বেসরকারি সংস্থার বিরুদ্ধে। দুর্গাপুরের ডিএসপি টাউনশিপের কুমারমঙ্গলম পার্ক পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সংস্থাটি সেখানে পানশালাটি চালাচ্ছে বলে অভিযোহ। যদিও সংস্থার এমডি দেবাশিস রায় জানান, দিন দশেক আগেই পানশালা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
আটের দশকের মাঝামাঝি শহরের কেন্দ্রে ৮০ একর জায়গায় কুমারমঙ্গলম পার্ক গড়ে তোলে ডিএসপি। দেশের প্রথম ইস্পাতমন্ত্রী মোহনকুমার মঙ্গলমের নামে সেটির নামকরণ করা হয়। নয়ের দশকের গোড়ায় ডিএসপি-র আর্থিক সঙ্কট তৈরি হলে ১৯৯৪ সালে বন্ধ হয়ে যায় পার্কটি। ২০০৬ সালের ১৭ এপ্রিল ডিএসপি শর্তসাপেক্ষে ১০ বছরের জন্য পার্কের দেখভাল ও পরিচালনার দায়িত্ব তুলে দেয় হয় এক বেসরকারি সংস্থার হাতে। বছর চারেক আগে পার্কের ভিতরে রেস্তোরাঁর পাশে একটি পানশালা খোলে সংস্থাটি। শহরের মাঝে পার্কে পানশালা চালু নিয়ে চাপান-উতোর তৈরি হয়। যদিও সংস্থার তরফে দাবি করা হয়, নিয়ম মেনেই তাঁরা পানশালা চালু করেছেন।
সম্প্রতি এ-জোনের এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার পক্ষে অভীক চৌধুরী তথ্য জানার অধিকার আইনে বিষয়টি নিয়ে ডিএসপি কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেন। ডিএসপি কর্তৃপক্ষ উত্তরে জানান, পানশালা চালানোর জন্য ওই সংস্থাকে ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ দেওয়া হয়নি। তাছাড়া ওই সংস্থার পার্ক পরিচালনার সময়সীমা ১৬ এপ্রিল পেরিয়ে গিয়েছে।
সংস্থার এমডি দেবাশিসবাবুর দাবি, প্রতি মাসে ডিএসপি-কে প্রায় ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা দিতে হয়। তিন বছর ধরে তা কমানোর জন্য দরবার করে চলেছেন। নির্দিষ্ট সময়ে তাঁরা পার্কটি ছেড়ে দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ডিএসপি কর্তৃপক্ষ কর্ণপাত করেননি। বাধ্য হয়ে তাঁরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। পানশালা চালানোর অনুমোদন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘ডিএসপি-র অনুমোদন না থাকলে রাজ্য সরকার ২০১২ সালে আমাদের পানশালা খোলার অনুমোদন দিত না। সম্প্রতি ডিএসপি সেই অনুমোদন বাতিল করেছে। আমরাও ১৭ নভেম্বর থেকে পানশালা বন্ধ রেখেছি।’’ ডিএসপি-র তরফে জানানো হয়েছে, আদালতের নির্দেশ মেনে ইতিমধ্যে সমস্যা সমাধানে আরবিট্রেটর নিয়োগ করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy