Advertisement
E-Paper

নিখোঁজ ছেলের হদিস বীরভূমে, দাবি দম্পতির 

কাটোয়ার জামাইপাড়ার বাসিন্দা রাইহান শেখ ও তাঁর স্ত্রী হাফিজা বিবি জানান, ২০১৪-র ২৫ অগস্ট সবার অলক্ষ্যে ছেলে নিখোঁজ হয়।

প্রণব দেবনাথ ও দয়াল সেনগুপ্ত

শেষ আপডেট: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:৪৩
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

সবাই ভেবেছিলেন ছেলে নিখোঁজ হয়েছে ভাগীরথীতে। কিন্তু শেষমেশ সেই ছেলেরই খোঁজ মিলেছে বীরভূমের মহম্মদবাজার থানার পাঁচামির এক মিষ্টির দোকানে, এমনই দাবি পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার এক দম্পতির। তবে সিউড়ি চাইল্ডলাইন সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করা হচ্ছে।

কাটোয়ার জামাইপাড়ার বাসিন্দা রাইহান শেখ ও তাঁর স্ত্রী হাফিজা বিবি জানান, ২০১৪-র ২৫ অগস্ট সবার অলক্ষ্যে ছেলে নিখোঁজ হয়। ছেলের বয়স তখন ছ’বছর দু’মাস। সবাই ভাবেন, ওই দম্পতির ছেলে বাড়ির অদূরে নদীতে তলিয়ে গিয়েছে। সপ্তাহখানেক ধরে প্রশাসন নদীতে তল্লাশি চালালেও খোঁজ মেলেনি। কিন্তু মাসখানেক আগে পাড়ার চা বিক্রেতা খুদু শেখের সূত্রে খবর মেলে, বীরভূমের দোকানে ‘ছেলে’ কাজ করছে।

জামাইপাড়ার বাসিন্দা খুদু জানান, আসা-যাওয়ার পথে তাঁর দোকানে চা খেতে আসেন পাঁচামির এক পাথর খাদানের ট্রাক চালক। খুদু জানান, ওই চালকই এক দিন বলেন, ‘‘আমাদের ওখানে মিষ্টির দোকানে এক কিশোর আছে। বলছে, কাটোয়ায় নদীর পাড়ে বাড়ি।’’ এর পরেই খুদু বিষয়টি দম্পতিকে জানালে তাঁরা সম্প্রতি পাঁচামিতে যান। দম্পতির দাবি, ‘‘ওই কিশোরের বুকের বাঁ দিকে জন্ম দাগ রয়েছে। তা দেখে ও-ই যে আমাদের ছেলে, বুঝতে পারি। ছেলেও আমাদের চিনেছে।’’ ‘ছেলে’ তাঁদের জানিয়েছে, কাটোয়া স্টেশনে চলে গিয়েছিল সে। সেখান থেকে এক জনের সঙ্গে পাঁচামি আসে।

কিন্তু তাঁদের দাবি, মিষ্টির দোকানের মালিক ওই কিশোরকে ছাড়তে চাননি। ফলে, তাঁরা মহম্মদবাজার থানায় যোগাযোগ করেন। সিউড়ি চাইল্ডলাইন সূত্রে জানা যায়, ওই কিশোরকে আপাতত একটি হোমে রাখা হয়েছে।

মহকুমাশাসক (কাটোয়া) সৌমেন পাল বলেন, ‘‘ওই কিশোর এখন সিউড়ি চাইল্ডলাইনে রয়েছে। ওই দম্পতিকে উপযুক্ত নথি জমা দিতে হবে।’’ একই কথা জানিয়ে সিউড়ি চাইল্ডলাইনের কর্মী সুচিস্মিতা চক্রবর্তীর দাবি, ‘‘দম্পতির দেওয়া জন্মের শংসাপত্র অনুযায়ী তাঁদের সন্তানের যা বয়স হওয়ার কথা, তার তুলনায় হোমের এই কিশোরকে প্রাথমিক ভাবে বেশি বয়সের বলে মনে হচ্ছে। অন্য নথিপত্র খতিয়ে দেখার কাজ চলছে।’’

চাইল্ড লাইনের বীরভূম জেলা কোঅর্ডিনেটর দেবাশিস ঘোষ বলেন, ‘‘এখন সামাজিক-তদন্ত (‌সোশ্যাল ইনভেস্টিগেশন) হবে। সেই তদন্ত রিপোর্টের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেবে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার কমিটি।’’

Child Childline Birbhum
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy