Advertisement
০৩ মে ২০২৪

বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে নালিশ ক্রেতা সুরক্ষায়

একটি বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে হয়রানি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে আগেই ডিজিসিএ-র কাছে অভিযোগ করেছিলেন বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নিখিল নির্মল। তাঁর অভিযোগ, বিমান শেষ মূহুর্তে বাতিল হলেও তাঁকে টিকিট-মূল্য ফেরৎ দেওয়া হয়নি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৭ ০০:০০
Share: Save:

একটি বিমান সংস্থার বিরুদ্ধে হয়রানি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে আগেই ডিজিসিএ-র কাছে অভিযোগ করেছিলেন বর্ধমানের অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নিখিল নির্মল। তাঁর অভিযোগ, বিমান শেষ মূহুর্তে বাতিল হলেও তাঁকে টিকিট-মূল্য ফেরৎ দেওয়া হয়নি। ফলে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন তিনি। সম্প্রতি ওই অভিযোগ নিয়ে জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের দ্বারস্থ হন তিনি।

সপ্তাহখানেক আগে দায়ের করা ওই মামলায় (সিসি নম্বর: ২৪২/২০১৬) ওই বেসরকারি বিমান সংস্থার গুরগাঁও ও দিল্লি দফতরের সংশ্লিষ্ট কর্তা, দিল্লি বিমানবন্দর এবং কলকাতা বিমানবন্দরের সংশ্লিষ্ট আধিকারিক ও দিল্লি বিমানবন্দরের দু’জন গ্রাউন্ড ক্রুয়ের নামে অভিযোগ করেন তিনি। সেখানে জানানো হয়েছে, তিনি ও তাঁর স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণণ কেন্দ্র সরকারের বিপর্যয় মোকাবিলার উপর একটি প্রশিক্ষণের জন্য দিল্লি গিয়েছিলেন। পাঁচ দিন প্রশিক্ষণের পর ১০ ডিসেম্বর কলকাতায় ফেরার জন্য ওই বিমানসংস্থার টিকিট কাটা ছিল। বিকেল ৪টে ৫৫ মিনিটের বিমান ধরার জন্য দুপুর দু’টোর মধ্যে বিমানবন্দরে ঢুকে যান ওই দম্পতি। সাড়ে চারটের মধ্যে নিয়ম মাফিক সব কিছু পরীক্ষা হয়ে যায়। কিন্তু তারপরেও তাঁদের নানা ভাবে হেনস্থা করা হয় বলে তাঁদের অভিযোগ। নিখিলবাবুর দাবি, বিমান ছাড়ার কয়েক মিনিট আগে বিমান বাতিল বলে জানানো হয়। তিনি জানান, নির্দিষ্ট কারণ ছাড়া বিমান বাতিল করা যায় কি না জানতে চাইলে এক জন গ্রাউন্ড ক্রু অত্যন্ত রূঢ় ব্যবহার করেন। তাঁরা বিমান ধরতে ব্যর্থ হয়েছেন বলেও জানানো হয়। শুধু তাই নয়, টিকিটের মূল্য ফেরত না দিয়ে টিকিটের উপর ‘বাতিল’ ছাপ মেরে দেওয়া হয় বলেও তাঁর দাবি। ১২ ডিসেম্বর দুপুর তিনটের আগে ওই সংস্থার কোনও বিমান না থাকায় অনেক বেশি ভাড়া দিয়ে অন্য বিমানে ফিরতে হয় তাঁদের।

১৪ ডিসেম্বর বর্ধমানে ফিরে এসে ডিজিসিএ-র কাছে অভিযোগ জানান তিনি। গত সপ্তাহে জেলা ক্রেতা ও সুরক্ষা আদালতে টিকিটের দাম, ক্ষতিপূরণ-সহ ৪ লক্ষ ৮৯ হাজার টাকা দাবি করে মামলা রুজু করেন। জানা গিয়েছে, ছ’জন অভিযুক্তের কাছে সমন পাঠানো হলেও তিন জনের ঠিকানা ‘ভুল’ থাকায় সমন পৌঁছয়নি। ২৫ জানুয়ারি এই মামলার শুনানি রয়েছে।

ওই বিমান সংস্থার যদিও দাবি, ওই আধিকারিকের ব্যাগে ‘পাওয়ার ব্যাঙ্ক’ ছিল। নিয়ম অনুযায়ী তা বের করে নিতে বলা হলেও উনি রাজি হননি। তর্কাতর্কিতে মাঝে বিমান ধরতে ব্যর্থ হন উনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

ADM
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE