ফের মোবাইল উদ্ধার হল বর্ধমান কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার থেকে। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযান চালিয়ে বন্দিদের ব্যাগ থেকে দু’টি মোবাইল ও বেশ কিছু সিম উদ্ধার করেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) নিখিল নির্মল ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (বর্ধমান সদর) দ্যুতিমান ভট্টাচার্য। আগেও এই সংশোধনাগার থেকে মোবাইল উদ্ধার হয়েছিল। তা পাওয়া গিয়েছিল ধর্মগ্রন্থের ভিতর থেকে।
এ ভাবেই কখনও বইয়ের ফাঁকে তো কখনও পাঁচিল টপকে, বর্ধমান সংশোধনাগারে মোবাইল ব্যবহার কমছে না কিছুতেই। এমনকী, কারারক্ষীরাই বন্দির পরিজনদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে মোবাইলের ব্যবস্থা করে দেন বলেও প্রশাসনের কাছে অভিযোগ এসেছে। কয়েক মাস আগেই হানা দিয়ে ১২টি মোবাইল উদ্ধার করেছিলেন প্রশাসনের কর্তারা। তারও আগে এক কয়েদির সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজস্বী দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছিল। বারবার এমন ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে জেলের নিরাপত্তা নিয়েই। বৃহস্পতিবার রাতে অভিযানের পরে নিখিল নির্মল বলেন, “আগের চেয়ে মোবাইল ব্যবহার অনেকটাই কমেছে। কিন্তু তবুও কী ভাবে বন্দিদের কাছে মোবাইল যাচ্ছে, তা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়েছে।” এ দিকে, কী ভাবে মোবাইলগুলি সংশোধনাগারে ঢুকল, তা নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছেন জেল সুপার শুভেন্দুকৃষ্ণ ঘোষ।
বৃহস্পতিবার রাত ৮টা নাগাদ পুলিশ-প্রশাসনের যে যৌথ দলটি হানা দেয়, তাতে অতিরিক্ত জেলাশাসক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছাড়াও ছিলেন ১০০ দিন প্রকল্পের নোডাল অফিসার বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য প্রমুখ। তাঁরা পরপর তিনটি ওয়ার্ড ও সাজাপ্রাপ্তদের ব্যক্তিগত সেলে গিয়ে অভিযান চালান তাঁরা। প্রায় এক ঘণ্টা অভিযান চলার পরে দু’টি সাধারণ ওয়ার্ডে বন্দিদের ব্যাগ থেকে মোবাইল ও সিম কার্ড উদ্ধার হয়। কারারক্ষীদের দাবি, সংশোধনাগারের পিছনেই রয়েছে বস্তি এলাকা। সেখান থেকেই সাবানের খাপ থেকে প্লাস্টিকের টিফিন বাক্সে পাঁচিল টপকে চলে আসে মোবাইল।
সংশোধনাগারের এক কর্তা বলেন, “এ রকম মোবাইল প্রতিদিনই উদ্ধার হচ্ছে। নিয়মিত তল্লাশিও চালানো হয়। তবে বস্তি এলাকায় বর্ধমান থানার টহলদারি বাড়ানো দরকার।” অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ ব্যাপারে সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষকে আশ্বাস দিয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy