Advertisement
০৫ মে ২০২৪
ক্ষোভ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে

মার্কশিট দিয়েও পরে ফেরত

জেলা তো বটেই, ভিন্‌ জেলার কলেজেও মার্কশিট পৌঁছে গিয়েছিল। সোমবার পরীক্ষার্থীদের হাতে সেই মার্কশিট তুলে দেওয়ারও কথা ছিল কলেজের। কিন্তু শেষ মূহুর্তে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের মেসেজে মার্কশিট বিলি বন্ধ রাখল কলেজগুলি। ছাত্র সংগঠনগুলির অভিযোগ, এইঘটনায় ফের সামনে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ও ফল প্রকাশের নানা গাফিলতি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, সামান্য বানানের ভুল রয়েছে মার্কশিটে।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৭ জানুয়ারি ২০১৭ ০১:৩৬
Share: Save:

জেলা তো বটেই, ভিন্‌ জেলার কলেজেও মার্কশিট পৌঁছে গিয়েছিল। সোমবার পরীক্ষার্থীদের হাতে সেই মার্কশিট তুলে দেওয়ারও কথা ছিল কলেজের। কিন্তু শেষ মূহুর্তে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের মেসেজে মার্কশিট বিলি বন্ধ রাখল কলেজগুলি। ছাত্র সংগঠনগুলির অভিযোগ, এইঘটনায় ফের সামনে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা ও ফল প্রকাশের নানা গাফিলতি। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দাবি, সামান্য বানানের ভুল রয়েছে মার্কশিটে।

কলেজ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাণিজ্য বিভাগের পার্ট ২-এর মার্কশিট পড়ুয়াদের হাতে দিতে নিষেধ করা হয়েছে। ওই মার্কশিট পরীক্ষা নিয়ামক দফতরে ফেরত পাঠানোর‌ও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে মার্কশিটে গোলমালটা কী ছিল, তা নিয়ে চাপান-উতোর দেখা দিয়েছে ছাত্র সংগঠন ও পরীক্ষা নিয়ামক দফতরের মধ্যে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলির অভিযোগ, এ বছরে প্রায় সাড়ে হাজার পড়ুয়া বাণিজ্য বিভাগের পার্ট ২ পরীক্ষা দিয়েছেন। গত ১৩ জানুয়ারি ফলপ্রকাশ হয়েছে। সে দিনই মার্কশিট কলেজ কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেয় বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু মার্কশিট খোলার পরে দেখা যায়, প্রতিটিতেই প্রথম ও তৃতীয় পত্রের জায়গায় একই বিষয় (অ্যাডভান্স অ্যাকাউন্টিং ও অডিটিং) লেখা রয়েছে। আবার গ্রুপ ২-এর একটি বিষয়ের বদলে অন্য বিষয় ছাপা হয়েছে। ছাত্র সংগঠনগুলির দাবি, পুরো মার্কশিটটাই কার্যত ভুলে ভরা। ওই মার্কশিট পড়ুয়াদের হাতে গেলে বিভ্রান্তিকর পরিস্থিতি তৈরি হতো। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃণমূল ছাত্র পরিষদ পরিচালিত ছাত্র সংসদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলামের দাবি, ‘‘নতুন সিলেবাসে পরীক্ষা হয়েছে। আর মার্কশিট এসেছে পুরনো সিলেবাসের। এটা চরম গাফিলতি।’’ এসএফআইয়ের বর্ধমান জেলার সাধারণ সম্পাদক দীপঙ্কর দে বলেন, ‘‘আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছি, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পড়ুয়াদের বদলে মার্কশিট প্রস্তুতকারক সংস্থার স্বার্থ দেখছে। ফলে, বারবার এই ধরণের গাফিলতি হচ্ছে।’’

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলে ভুল মার্কশিট, একই ছাত্রের নামে একাধিক মার্কশিট আগেও দেখা গিয়েছে। কয়েক দিন আগে, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বি এড পরীক্ষার চতুর্থ পত্রের প্রশ্ন ফাঁস হয়ে গিয়েছিল। দোষীকে ধরার জন্য বর্ধমান থানায় ও সিআইডি-র সাইবার দফতরে অভিযোগ জানিয়েছিলেন রেজিস্ট্রার দেবকুমার পাঁজা। তার ক’দিনের মধ্যেই আবার গোলমাল। এ দিন তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে পরীক্ষা নিয়ামক রাজীব মুখোপাধ্যায় ছাত্র সংগঠনের অভিযোগের দাবিগুলি মানতে চাননি। তাঁর কথায়, ‘‘মার্কশিটে কমার্স বানানের ‘ই’ অক্ষরটি নেই। শুক্রবার সন্ধ্যায় নজরে আসার পরেই মার্কশিট বিলি করতে নিষেধ করা হয়েছে।’’ বিশ্ববিদ্যাল সূত্রে জানা যায়, আজ, মঙ্গলবার নতুন মার্কশিট কলেজগুলির হাতে তুলে দেওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Mark sheet Agitation
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE