Advertisement
E-Paper

উচ্চতা বাড়ানোর দাবি, বিক্ষোভে বন্ধ সেতুর কাজ

বর্ষা হলেই জলের তলায় চলে যাবে সেতু। এই অভিযোগে মঙ্গলবার নির্মীয়মাণ সেতুর কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন কেতুগ্রামের চকখাঁড়ুলিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৬ ০০:২২
এই সেতুটিই উঁচু করার দাবি। নিজস্ব চিত্র।

এই সেতুটিই উঁচু করার দাবি। নিজস্ব চিত্র।

বর্ষা হলেই জলের তলায় চলে যাবে সেতু। এই অভিযোগে মঙ্গলবার নির্মীয়মাণ সেতুর কাজ বন্ধ করে বিক্ষোভ দেখালেন কেতুগ্রামের চকখাঁড়ুলিয়া গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশ।

বাসিন্দারা জানান, গ্রামের চার দিকে রয়েছে কাঁদর। এক দিকে কাটোয়া-আজিমগঞ্জ ও অন্য দিকে আহমদপুর যাওয়ার রেললাইন তৈরি হচ্ছে। চকখাঁড়ুলিয়া ও উদ্ধারণপুরের মধ্যে রয়েছে ৮৫ ফুট লম্বা কাঠের সেতু। অভিযোগ, ওই সেতুটি নড়বড়ে। অথচ রেলস্টেশন, ব্লক অফিস, স্বাস্থ্যকেন্দ্র যাওয়ার জন্য ওই সেতুটিই ভরসা বলে জানান সন্তোষী মাঝি, বিষ্ণু মাঝি, নারায়ণ মাঝিরা। সেতুটির উপরে ভরসা করেন অম্বলগ্রাম, ভুলকুড়ি, পুরুলিয়া, সেনপাড়া, মুরুন্দি, বন্দর, জলসূতি-সহ বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দারা।

এই পরিস্থিতিতে ওই কাঠের সেতুর পাশেই চলতি বছরের জানুয়ারিতে জেলা প্রশাসন পাকা সেতু তৈরির কাজ শুরু করে। প্রশাসনের সূত্রে জানা গিয়েছে, নির্মীয়মাণ সেতুটির উচ্চতা ১৭ ফুট। স্থানীয় বাসিন্দা সন্ন্যাসীচরণ মাঝি, অমিত মাঝি, জয়শ্রী মাঝিদের দাবি, সেতুর উচ্চতা ২২ ফুটের কম হলে সেতুটি বর্ষায় ডুবে যাবে। ফলে বিপাকে পড়তে হবে বাসিন্দাদের।

স্থানীয় বাসিন্দা রেখা মাঝি, দেবশ্রী মাঝিদের অভিযোগ, জানুয়ারিতে কাজ শুরুর পরে বিভিন্ন কারণে আড়াই মাস কাজ বন্ধ ছিল। ফের কাজ শুরু হওয়ার পরে সেতুর উচ্চতা বাড়ানোর দাবিতে জেলাশাসক, বিডিও-র কাছে বহুবার আবেদন করেও ফল মেলেনি। যদিও কেতুগ্রাম ২ ব্লকের বিডিও অর্ণব সাহার দাবি, ‘‘মাস চারেক আগে ইঞ্জিনিয়াররা পরিস্থিতি দেখে গিয়েছেন। কিন্তু সেতুর উচ্চতা বাড়ানোর বিষয়ে তাঁরা কিছু বলেননি।’’ বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নজরে আনা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন অর্ণববাবু।

Agitation bridge
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy