Advertisement
০৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

কম দিনে ফসল, পরীক্ষা ৭ ধানে

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুক্তশ্রী, অজিত, সুকুমার, নির্মাল্য, ভূপেশ, মনীষা এবং পুরুলিয়া ১ ধান নিয়ে পরীক্ষা চলছে। এগুলির ফলন মেলে ১২০ থেকে ১২৫ দিনে। গতানুগতিক বীজে যেখানে ১৩৫ থেকে ১৪৫ দিন লাগে।

নতুন প্রজাতির ধান চাষের কথা ভাবছে কৃষি খামারগুলি। —ফাইল চিত্র।

নতুন প্রজাতির ধান চাষের কথা ভাবছে কৃষি খামারগুলি। —ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০১৭ ০০:৪৩
Share: Save:

কোথাও জমিতে আর্সেনিক বেশি, কোথাও বন্যায় জমি ডুবে ধান চাষে সময় মেলে কম। এ সব মাথায় রেখে স্বল্প মেয়াদি এবং উচ্চফলনশীল সাত প্রজাতির ধান নিয়ে পরীক্ষা চালাচ্ছে কৃষি দফতর। রাজ্যের তিন জেলার পাঁচটি কৃষি খামারকে বেছে নেওয়া হয়েছে। সেগুলি হল, বর্ধমানের কালনা, ভাতার, পশ্চিম মেদনাপুরের পিংলা এবং হুগলির পুরশুঁড়ি ও ধনেখালি।

কৃষি কর্তারা জানিয়েছেন লালস্বর্ণের মতো প্রজাতির ধান দীর্ঘদিন ধরে চাষ করার ফলে এক দিকে যেমন ফলন কমছে, তেমনি রোগ পোকার সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পাশাপাশি দিনে দিনে সাধারণ মানুষের খাদ্যাভ্যাসও বদলাচ্ছে। সরু ধানের চাহিদা বাড়ছে। ফলে নতুন প্রজাতির ধান চাষের কথা ভাবছে কৃষি খামারগুলি। বিশেষত, যে জমিতে আলু চাষ করার পরে আমন ধান চাষ করেন চাষিরা তার কথা ভাবা হচ্ছে। কর্তাদের দাবি, লাল স্বর্ণের মতো দীর্ঘমিয়াদি ধান তুলে চাষিদের আলুর জমি তৈরি করার বেশি সময় থাকে না। চুন অথবা ডলোমাইট প্রয়োগ করে মাটির অম্লত্ব দূর করতে পারেন না তাঁরা। ফলে আলুর চারাগাছ মরে যাওয়া এবং বিভিন্ন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়। মাঝ পথে সমস্যায় পড়েন চাষিরা। নতুন ধানগুলি এই পরিস্থিতিতে কাজে আসবে বলেও কর্তাদের দাবি।

কৃষি দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মুক্তশ্রী, অজিত, সুকুমার, নির্মাল্য, ভূপেশ, মনীষা এবং পুরুলিয়া ১ ধান নিয়ে পরীক্ষা চলছে। এগুলির ফলন মেলে ১২০ থেকে ১২৫ দিনে। গতানুগতিক বীজে যেখানে ১৩৫ থেকে ১৪৫ দিন লাগে। কালনা কৃষি খামারে নতুন প্রজাতির ধান চাষের পরীক্ষার বিষয়টি দেখভাল করছেন সহ-কৃষি অধিকর্তা সুব্রত ঘোষ। তিনি বলেন, ‘‘কৃষি খামারে প্রতিটি প্রজাতির পরীক্ষার জন্য ১০ ডেসিবল করে জায়গা ঠিক করা হয়েছে। চুঁচুড়া ধান্য গবেষণা কেন্দ্র এবং বর্ধমান ফিল্ড ক্রপ রিসার্চ ষ্টেশন থেকে বীজও চলে এসছে। জেলার আবহাওয়াই প্রজাতিগুলি কত দিনে এবং কতটা ফলন দেয় তা দেখা হবে।’’

তাঁর আরও দাবি, পূর্বস্থলী ১, ২ ব্লকের মতো যে সমস্ত এলাকায় মাটির তলার জলে মিশে রয়েছে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক সেখানে চুঁচুড়া ধান্য গবেষণা কেন্দ্রের তৈরি মুক্তশ্রী প্রজাতির ধান চাষ নিরাপদ। সুব্রতবাবুর কথায়, ‘‘আলু চাষের সাফল্য অনেকটাই নির্ভর করে জমি তৈরির উপরে। সে ক্ষেত্রে খরিফ মরসুমে স্বল্প মেয়াদি ধান চাষ অত্যন্ত জরুরি। এর ফলে চাষিদের হাতে অন্তত ২০ দিন জমি তৈরির সুযোগ থাকে।’’

অন্য বিষয়গুলি:

high yielding paddy rice paddy Agriculture department Agriculture কালনা Kalna
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy