পূর্বস্থলীতে উদ্ধার মূর্তি। নিজস্ব চিত্র
মাটি কাটার সময়ে ফুট তিনেকের প্রাচীন মূর্তি উদ্ধার হল পূর্বস্থলী ২ ব্লকের নিমদহ মাহেশ্যপাড়া এলাকায়। সেটি নিয়ে হইচই পড়ে যায় বাসিন্দাদের মধ্যে। এলাকার একটি ঘরে রেখে মূর্তিটির পুজো শুরু করেছেন কয়েকজন। পুলিশ জানায়, বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট বিভাগের লোকজনের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মূর্তিটি কালো পাথরের তৈরি। মূর্তির পাশে বেশ কয়েকজন দেবদেবীর ছবি ও কারুকাজ রয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের পুরাতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক স্বাতী রায় মূর্তির ছবি দেখে বলেন, ‘‘এটি দশম-একাদশ শতকের সূর্য মূর্তি। সূর্যের পায়ের কাছে ডান দিকে পিঙ্গল, বাঁ দিকে দণ্ডী, মাঝে মহাশ্বেতা। মহাশ্বেতার নীচে অরুণ। সূর্যের দু’পাশে আটটি গ্রহ।’’ এই ধরনের মূর্তি বিশেষ দেখা যায় না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে স্থানীয় বাসিন্দা মরণ শীল বাড়ি তৈরির জন্য ভিত খোঁড়ার কাজ শুরু করেছিলেন। ফুট ছয়েক মাটি কাটার পরে আচমকা এক শ্রমিকের কোদালের চাপে মূর্তিটি উঠে আসে। মূর্তি উদ্ধারের খবর ছড়িয়ে পড়তেই বহু মানুষ ভিড় জমান। উৎসাহী গ্রামবাসী মূর্তিটি কাছাকাছি একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে পুজো শুরু করেন। ভক্তদের জন্য অন্নক্ষেত্রের আয়োজনও করা হয়। একটি মন্দির গড়ে মূর্তিটি রাখা হবে বলে জানান কয়েকজন এলাকাবাসী।
গ্রামবাসীদের একাংশের দাবি, যেখান থেকে মূর্তিটি উদ্ধার হয়েছে, সেখানে বহু বছর আগে মন্দির ছিল। ১৯৬৩ সালে এলাকায় বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হওয়ায় মন্দিরটি ভেঙে পড়ে। ক্রমশ মন্দিরের নানা অংশ নষ্ট হয়ে যায়। ওই বাসিন্দাদের বিশ্বাস, সেই মন্দিরেই ছিল মূর্তিটি। এলাকার বাসিন্দা আকবর শেখের কথায়, ‘‘আমরা ছোটবেলায় মন্দিরটি দেখেছি। মাটির নীচ থেকে পাওয়া মূর্তিটি সেই মন্দিরের বলেই মনে হচ্ছে।’’
মূর্তি উদ্ধারের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় পূর্বস্থলী থানার পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘প্রাচীন মূর্তি নিয়ে গ্রামবাসীদের মধ্যে আবেগ তৈরি হয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy