Advertisement
০৬ মে ২০২৪
Green Corridor for Patients

হৃদরোগে মৃত্যুর হার কমাতে গ্রিন করিডরের ভাবনা

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে কম বয়সিদের মধ্যে সেরিব্রাল স্ট্রোক ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে।

—প্রতীকী চিত্র।

—প্রতীকী চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ০৯:৩২
Share: Save:

হৃদরোগ ও ‘সেরিব্রাল স্ট্রোকে’ আক্রান্তদের দ্রুত চিকিৎসা শুরু করার জন্য ‘গ্রিন করিডর’ করে নিয়ে আসা হবে জেলা হাসপাতালে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানান, বিষয়টি নিয়ে সমস্ত ব্লক হাসপাতাল ও পুলিশ-প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। সহকারী মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক সুবর্ণ গোস্বামী বলেন, “জেলায় স্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমানোর জন্য এই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলায় পরীক্ষামূলক ভাবে এই পরিষেবা শুরু হয়েছে।’’

জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছরে কম বয়সিদের মধ্যে সেরিব্রাল স্ট্রোক ও হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমান সময়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে মাসে গড়ে ৫০ জন করে এই ধরনের রোগী আসছেন। চিকিৎসকদের মতে, আক্রান্ত হওয়ার ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে চিকিৎসা শুরু করা গেলে মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা করা সম্ভব। সেই কারণেই পুলিশের সহযোগিতায় গ্রিন করিডরের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলার স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে গ্রিন করিডরের বিষয়টি জানানো হয়েছে। জেলার কোথাও এই ধরনের রোগীকে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার পরে, সেখানকার চিকিৎসক বিষয়টি জেলা হাসপাতালে জানাবেন। জেলা হাসপাতালের নির্দেশ মতো রোগীকে আনার ব্যবস্থা করা হবে। সেখানে আনার পরে, চিকিৎসকেরা রোগীর প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করে ‘টেলি-মেডিসিন’ পরিষেবার মাধ্যমে বাঙুর হাসপাতালে জানাবেন। সেখানকার চিকিৎসকদের নির্দেশ মতো রোগীর চিকিৎসা শুরু করা হবে।

কেন এই ভাবনা? স্বাস্থ্য-কর্তারা জানান, অনেক সময়ে স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিতে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর এই সংক্রান্ত পরীক্ষা করার সুযোগ থাকে না। ফলে, চিকিৎসা শুরু হতে দেরি হওয়ায় রোগীর অবস্থার অবনতি ঘটে। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করার জন্য জেলা স্বাস্থ্য দফতর ও পুলিশ-প্রশাসনের যৌথ প্রচেষ্টার মাধ্যমে পরিষেবা দেওয়া হবে। বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের সুপার তাপস ঘোষ বলেন, “কয়েক বছর আগেই বর্ধমান মেডিক্যালের জরুরি বিভাগে ব্রেন ডেথ নিয়ে উন্নত পরিকাঠামো তৈরি করা হয়েছে। এই চিকিৎসাকে বলা হয় ‘থ্রোম্বসিস’। মেডিসিন বিভাগের অধীনে প্রতি দিনই এই চিকিৎসা হয়। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক থাকছেন। তবে, একটা বিষয় মনে রাখা জরুরি, ঘটনা ঘটার মাত্র ২ ঘণ্টার মধ্যেই রোগীকে হাসপাতালে আনতে হবে।”

ডিএসপি অতনু ঘোষাল বলেন, “শুধু মাত্র স্ট্রোকের ক্ষেত্রে নয়। জরুরি কোনও ঘটনা হলেই পুলিশের তরফে দ্রুত পদক্ষেপ করা হয়।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Bardhaman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE