স্কুলের চৌহদ্দিতে কসরত করছিল এক দল ছাত্রী। শুধু ছাত্রীরা নয়, বর্ধমানের ইছলাবাদের গার্লস স্কুলে তাতে যোগ দিয়েছেন শিক্ষিকারাও। জানা গেল, ক্যারাটের প্রশিক্ষণ নিতে নেমেছেন তাঁরা। ক্রমশ বেড়ে চলা নারী নির্যাতনের সময়ে আত্মরক্ষার কৌশল শেখাতেই এই ‘বিশেষ’ ব্যবস্থা, জানালেন স্কুল কর্তৃপক্ষ।
পূর্ব বর্ধমান জেলা পুলিশের উদ্যোগে স্কুলে-স্কুলে শুরু হয়েছে এই ‘আত্মরক্ষার পাঠ’ দেওয়া। বর্ধমান শহরের বিদ্যার্থী গার্লস হাইস্কুল ও পুলিশ লাইনের কাছে ইছালাবাদ বিবেকানন্দ বালিকা বিদ্যালয়ে ‘পাইলট প্রজেক্ট’ চলছে। পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শুধু ছাত্রীদের নয়, ‘মার্শাল আর্ট’ শিখতে আগ্রহী জনা দশেক মহিলা কনস্টেবলকেও বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তাঁরা স্কুলে-স্কুলে গিয়ে ছাত্রীদের শেখাতে পারেন। প্রতি স্কুলের ৪০ জন ছাত্রীকে নিয়ে এই প্রকল্প চালু করেছে পুলিশ।
জেলার পুলিশ সুপার ভাস্কর মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘দু’টি স্কুল নিয়ে এই প্রকল্প শুরু হয়েছে। ধীরে-ধীরে বর্ধমান শহরের সব স্কুলেই আত্মরক্ষার পাঠ দেওয়া হবে। তার পরে কাটোয়া ও কালনায় এই প্রকল্প নেওয়া হবে।’’ জেলা পুলিশের কনস্টেবল, ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ স্বপন সর্দারকে প্রশিক্ষক হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে। তিনিই শহর ঘুরে কয়েকজন মহিলা প্রশিক্ষককে খুঁজে বার করেছেন। তাঁরাও ক্যারাটেতে ‘ব্ল্যাক বেল্ট’ বলে জেলা পুলিশের দাবি। তাঁদের সঙ্গে নিয়েই গত সপ্তাহ থেকে স্কুলে প্রশিক্ষণ শুরু করা হয়েছে।