Advertisement
০৭ মে ২০২৪
burdwan

প্রবীণদের দাবি মেনে সাজবে ভাগীরথী, অজয়ের পাড়

কাটোয়া শহরের ২০টি ওয়ার্ড মিলে এক লক্ষের কিছু কম মানুষ বসবাস করেন। তবে যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে জনসংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে শহরের ভিতরে, প্রকৃতির মাঝে বসে অবসর সময় কাটানোর দাবি দীর্ঘদিনের। এখন বিকাল হলেই প্রবীণ, বয়স্করা ভাগীরথীর নানা স্নানঘাটে বসে সময় কাটান। কিন্তু, উপযুক্ত পরিবেশ থাকলেও কোনও পরিকাঠামো নেই বলে দাবি তাঁদের।

ভাগীরথীর পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হয়েছে কাটোয়ায়। নিজস্ব চিত্র

ভাগীরথীর পাড় বাঁধানোর কাজ শুরু হয়েছে কাটোয়ায়। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কাটোয়া শেষ আপডেট: ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৩:৪৯
Share: Save:

কর্মজীবন শেষ তাঁদের। সময় কাটাতে সকাল-বিকেল সমবয়েসী, সমমনস্কদের সঙ্গে আড্ডা মারতে বসেন তাঁরা। কিন্তু নিরিবিলি, সাজানো জায়গার অভাবে সেই আড্ডা বসে স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম, মন্দিরের চাতাল কিংবা ঘাটের ধারে। কাটোয়ার প্রবীণ-বৃদ্ধদের আক্ষেপ, শহর সাজানো, শিশুদের জন্য পার্ক গড়ার কথা ভাবলেও তাঁদের অবসর কাটানোর কথা ভাবে না পুরসভা। তবে এ বার মিটতে চলেছে তাঁদের দাবি।

পুরসভার দাবি, শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ভাগীরথী ও অজয়ের পাড় পরিচ্ছন্ন করে, সাজিয়ে তোলার দীর্ঘদিনের দাবি মেনে কাজ শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই ভাগীরথীর পাড় বরাবর বাঁধানো শুরু হয়েছে। শ্মশানঘাট থেকে শুরু করে দেবরাজ ঘাট, কালীবাড়ি ঘাট, কাশিগঞ্জ ঘাট বাধাঁনোর কাজ জোরকদমে চলছে। এর সঙ্গেই নদীর পাড় ও সংলগ্ন রাস্তা ঢালাই করে আধুনিক বসার জায়গা করা হবে। বসবে ‘এলইডি’ বাতিস্তম্ভ। এর সঙ্গেই পরিবেশের দিকে নজর দিতে গাছ লাগানোও শুরু হয়েছে। পুরসভার দাবি, পুরো কাজের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়েছে। ভাগীরথীর পাড় সাজানো শেষ হলে অজয় নদের পাড়ও সাজিয়ে তোলা হবে, তাঁদের আশ্বাস।

কাটোয়া শহরের ২০টি ওয়ার্ড মিলে এক লক্ষের কিছু কম মানুষ বসবাস করেন। তবে যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে জনসংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে শহরের ভিতরে, প্রকৃতির মাঝে বসে অবসর সময় কাটানোর দাবি দীর্ঘদিনের। এখন বিকাল হলেই প্রবীণ, বয়স্করা ভাগীরথীর নানা স্নানঘাটে বসে সময় কাটান। কিন্তু, উপযুক্ত পরিবেশ থাকলেও কোনও পরিকাঠামো নেই বলে দাবি তাঁদের।

শহরের মাস্টারপাড়ার প্রবীণ বাসিন্দা প্রফুল্ল সরকার, কাছারি রোডের বাসিন্দা মনোরঞ্জন মুখ্যোপাধ্যায়েরা বলেন, ‘‘কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়ার পরে, দুপুর পর্যন্ত সংসারের নানা কাজ করে সময় কেটে যায়। তবে বিকেলের পরে আর বাড়িতে থাকতে ভাল লাগে না। অনেক সময় প্ল্যাটফর্মে গিয়ে বন্ধুদের সঙ্গে গল্প করি। কিন্তু, স্টেশন তো আড্ডা দেওয়ার জায়গা নয়।’’ তাঁদের অভিযোগ, অনেক সময়ে ভাগীরথীর ধারে গিয়ে বসেন তাঁরা। কিন্তু সেখানে প্রাকৃতিক পরিবেশ ভাল হলেও, বসার কোনও জায়গা নেই। সন্ধ্যার পরে, এলাকা অন্ধকার হয়ে যায়। তার সঙ্গেই কিছু এলাকায় নোংরা, আবর্জনা জমে থাকে বলেও তাঁদের দাবি।

পুরপ্রধান তথা বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় জানান, শহরে ভাগীরথীর নানা ঘাট সংস্কার করে পাড় বাধাঁনোর কাজ শুরু হয়েছে। সংলগ্ন রাস্তা ঢালাই করা হচ্ছে। তাঁর দাবি, ‘‘কংক্রিটের বেঞ্চ করা হবে। এলাকা আলোকজ্জ্বল করে তুলতে পর্যাপ্ত পরিমাণে বাতিস্তম্ভ বসানো ও বৃক্ষরোপণ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Burdwan Bhagirathi Ajay
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE