রাধারানি ওয়ার্ডে এক জন রোগীর পড়ে গিয়ে মাথা ফেটেছে। রক্ত থামাতে পারছেন না নার্সরা। খবর পেয়ে এলেন একজন জুনিয়র চিকিৎসক (পিজিটি)। সেখান থেকে ফিরে এসে জরুরি বিভাগে থাকা সিনিয়র ডাক্তারকে বললেন, ‘‘স্যার, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়ে রোগীকে সুস্থ করে তুলেছি।’’
রবিবার সকালে এক জুনিয়র চিকিৎসকের এমন ‘কর্তব্যের কথা’ই বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার উৎপল দাঁ’কে শোনাচ্ছিলেন সংশ্লিষ্ট সিনিয়র চিকিৎসক। সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “জুনিয়র ডাক্তারেরা আমাদের সাহায্য করতে শুরু করেছে।’’
এর মধ্যেই গলসির রামনগরের পাঁচ বছরের শিশু সুমাইয়া খাতুনকে রক্তাক্ত অবস্থায় জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। তার চোখের উপরে কেটে গিয়ে রক্ত ঝরছে। জানা গিয়েছে, মোটরবাইকের ধাক্কায় ওই শিশুটি জখম হয়েছে। শিশুটিকে দেখতে ছুটে আসেন জুনিয়র চিকিৎসক ঋতরষি নাথ। তিনিই প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে শিশুটিকে চক্ষু বিভাগে পাঠান। হাসপাতাল সুপার উৎপল দাঁ-ও শিশুটির চিকিৎসা-সংক্রান্ত পরামর্শ দেন ওই জুনিয়র চিকিৎসককে। ছুটির দিনে সিনিয়রদের সাহায্য করার জন্য সুপার অনুরোধও জানান। ওই জুনিয়র চিকিৎসক বলেন, “বিবেকের কাজ করেছি। মুর্মূষু রোগীকে সাহায্য করা আমাদের কর্তব্য।’’ পাশেই জুনিয়র ডাক্তারদের ধর্না মঞ্চ থেকে তখন ভেসে আসছিল, “রোগীরা আমাদের পাশে থাকুন। আমরা আপনাদের সঙ্গে সবসময় থাকব!’’