Advertisement
E-Paper

‘উন্নয়ন’ দেখে মনোনয়ন তুলে তৃণমূলে যোগ

দুর্গাপুরে মহকুমাশাসকের অফিসে সোমবার পাণ্ডবেশ্বরের জেলা পরিষদের ৪ নম্বর আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দেন সোনালি গিরি। কিন্তু পরে তিনি দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন, ২২ এপ্রিল বিজেপি-র লোকজন তাঁর বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ওই আসনে মনোনয়ন জমা দিতে বলে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৮ ০৮:০১
প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

আগের দিন তৃণমূল প্রার্থীর প্রচারে সামিল হয়েছিলেন সিপিএম প্রার্থী। কাঁকসায় এ বার পঞ্চায়েত সমিতি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করে তৃণমূলে যোগ দিলেন সিপিএমের প্রার্থী। বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিলেন পাণ্ডবেশ্বরের এক নেত্রীও। তিনিও জেলা পরিষদ থেকে প্রার্থিপদ প্রত্যাহার করেছেন।

কাঁকসার গোপালপুর থেকে পঞ্চায়েত সমিতির একটি আসনে সিপিএমের হয়ে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন শীতল বাউড়ি। বৃহস্পতিবার তিনি তা প্রত্যাহার করে নেন। কাঁকসা ব্লক অফিস থেকে বেরিয়ে তিনি দাবি করেন, তৃণমূলের উন্নয়নে সামিল হতে চান। তাই এই সিদ্ধান্ত। তাঁর কথায়, ‘‘নিজেই মনোনয়ন জমা দিয়েছিলাম। কিন্তু পরে দেখলাম, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেক কাজ করছেন। তাই প্রত্যাহার করলাম। এ বার তৃণমূলের হয়ে প্রচার করব।’’ তাঁকে গোলাপ উপহার দিয়ে মিষ্টিমুখ করান স্থানীয় তৃণমূল নেতারা।

দুর্গাপুরে মহকুমাশাসকের অফিসে সোমবার পাণ্ডবেশ্বরের জেলা পরিষদের ৪ নম্বর আসনের জন্য মনোনয়ন জমা দেন সোনালি গিরি। কিন্তু পরে তিনি দুর্গাপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন, ২২ এপ্রিল বিজেপি-র লোকজন তাঁর বাড়িতে গিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে ওই আসনে মনোনয়ন জমা দিতে বলে। ২৩ এপ্রিল তাঁকে জোর করে মনোনয়ন জমা করানো হয়। বৃহস্পতিবার মনোনয়ন প্রত্যাহারের পরে দুর্গাপুরের তৃণমূল নেতারা তাঁকে নিয়ে যান দলের জেলা কার্যালয়ে। তৃণমূলের জেলা কার্যকরী সভাপতি উত্তম মুখোপাধ্যায় তাঁর হাতে দলের পতাকা তুলে দেন। সোনালি বলেন, ‘‘শাসক দল যে ভাবে উন্নয়ন করছে তা দেখেই আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’

বুধবার একই রকম ছবি দেখা গিয়েছিল কাঁকসার ত্রিলোকচন্দপুরের হাজরাবেড়া গ্রামে। সিপিএমের হয়ে পঞ্চায়েতে মনোনয়ন জমা দেওয়া ছবি ওরাং সে দিন সকালে তৃণমূলের পতাকা হাতে প্রার্থী জরিনা খাতুনের সঙ্গে প্রচারে বেরোন। তিনিও দাবি করেন, গ্রামে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। তাই স্বেচ্ছায় তৃণমূলের প্রচারে সামিল হয়েছেন। যদিও সিপিএম প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ করে, ছবিদেবীকে জোর করে তুলে নিয়ে গিয়েছে তৃণমূলের লোকজন।

সিপিএম নেতা পঙ্কজ রায় সরকারের অভিযোগ, ‘‘বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় সব আসন জেতার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে তৃণমূল। সে কারণে ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করে বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয় প্রত্যাহার করাচ্ছে।’’ দুর্গাপুরের বিজেপি নেতা অমিতাভ বন্দ্যোপাধ্যায়েরও অভিযোগ, ‘‘জোরজুলুমের রাজনীতি শুরু করেছে তৃণমূল।’’

তৃণমূল নেতা উত্তমবাবু অবশ্য এ সব অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে বলেন, ‘‘বিরোধীরা অনেককে জোর করে প্রার্থী করতে চেয়েছিল। তাঁরাই এখন বেঁকে বসে আমাদের দলে আসছেন।’’

West Bengal Panchayat Elections 2018 West Bengal Panchayat Elections 2018
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy