বেআইনি বালি খাদানগুলিকে চিহ্নিত করে ই-টেন্ডার করার সিদ্ধান্ত নিল বর্ধমান জেলা পরিষদ ও জেলা প্রশাসন। এ ব্যাপারে ব্লকের ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিকদের বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হবে বলেও জানান অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রণব বিশ্বাস।
শুক্রবার বর্ধমান জেলা পরিষদের ভবনে বন ও ভূমি স্থায়ী কমিটির বৈঠক ছিল। সেখানে হাজির ছিলেন প্রণববাবু। ওই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত হয়, দামোদর, অজয় ও গন্ধেশ্বরী নদীর যে সব জায়গায় বেআইনি বালি খাদান রয়েছে, সেগুলিকেও বৈধতা দেওয়া হবে। জেলা পরিষদের সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, “বেআইনি বালির কারবার বন্ধ করার জন্যই এই উদ্যোগ। পাশাপাশি সরকারের রাজস্বও আদায় হবে।”
প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, কয়েকদিন আগে গলসি থানা ১১টি বালিবোঝাই ট্রাক আটক করে। ওই সব ট্রাক চালকের কাছ থেকে পাওয়া চালানগুলি পরীক্ষার জন্য বিএলএলআরওদের কাছে পাঠিয়েছিলেন গলসির ওসি রাকেশ সিংহ। বিএলএলআরও চিঠি দিয়ে জানান, ওই চালানগুলি জাল। ওই সব খাদানের কোনও অনুমোদন ভূমি দফতর দেয়নি। পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, আউশগ্রাম, হিরাপুর সহ বিভিন্ন জায়গাতে বেআইনি বালি খাদান রয়েছে।