Advertisement
E-Paper

দুর্ঘটনার পরে বাস বন্ধ, দুর্ভোগ

বুধবার কুলটির লছিপুরে জিটি রোডে মিনিবাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় মোটরবাইক আরোহী বছর পনেরোর এক কিশোরের। গুরুতর জখম তার দুই সঙ্গী। ঘটনার পরেই মিনিবাসটি ভাঙচুর করে ক্ষুব্ধ জনতা। দফায়-দফায় জিটি রোড অবরোধ করা হয়। ঢিল-পাটকেল ছোড়া হয় পুলিশের গাড়িতে।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০১৭ ০৩:১২

দুর্ঘটনার পরে বিক্ষোভ-ভাঙচুরের জেরে বন্ধ রয়েছে বাস, মিনিবাস। ফলে, চার দিন ধরে দুর্ভোগ পোয়াচ্ছেন পশ্চিম বর্ধমানের কুলটির প্রায় পঞ্চাশ হাজার নিত্যযাত্রী। সমস্যা মেটাতে শনিবার পুলিশ সব পক্ষকে নিয়ে বৈঠক করে।

বুধবার কুলটির লছিপুরে জিটি রোডে মিনিবাসের ধাক্কায় মৃত্যু হয় মোটরবাইক আরোহী বছর পনেরোর এক কিশোরের। গুরুতর জখম তার দুই সঙ্গী। ঘটনার পরেই মিনিবাসটি ভাঙচুর করে ক্ষুব্ধ জনতা। দফায়-দফায় জিটি রোড অবরোধ করা হয়। ঢিল-পাটকেল ছোড়া হয় পুলিশের গাড়িতে। বিক্ষোভকারীরা দাবি করেন, মৃতের পরিবারকে ১২ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। তা না হলে বাস চলতে দেওয়া হবে না।

এর পরেই নিরাপত্তার অভাবের অভিযোগে আসানসোল থেকে কুলটি, বরাকর, ডিসেরগড় ও চিনাকুড়ি রুটে চলা ৬২টি মিনিবাসই বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সিদ্ধান্তকে সমর্থন জানিয়ে বৃহস্পতিবার থেকে ওই সব রুটের ১৭টি বাসও বন্ধ রেখেছেন মালিকেরা। যাত্রীদের অভিযোগ, এই সুযোগে অটো ও টোটো চালকেরা চড়া ভাড়া নিয়ে জিটি রোডে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দফায়-দফায় বৈঠকের পরে স্থানীয় বাসিন্দারা ক্ষতিপূরণ হিসেবে সর্বশেষ এক লক্ষ টাকা দাবি করেছেন। কিন্তু বাস মালিকেরা ৭৫ হাজার টাকার বেশি দিতে পারবেন না বলে জানিয়েছেন। এ দিন বৈঠকের পরে আসানসোল মিনিবাস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ রায়ের দাবি, পুলিশ নিরাপত্তার নির্দিষ্ট আশ্বাস না দেওয়ায় তাঁরা বাস, মিনিবাস চালু করা নিয়ে সংশয়ে রয়েছেন। পুলিশকর্তাদের দাবি, নিরাপত্তার সমস্যা নেই। তাঁদের আশা, রবিবার বাস চালু হতে পারে।

Bus strike Kulti road crash Accident কুলটি
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy