Advertisement
০৩ মে ২০২৪

মদের দোকানের পাশে দেহ, ভাঙচুর

মদের দোকানের পিছন থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠল আসানসোলের ধেমোমেন এলাকা। সোমবার রাতে মদের দোকান ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ করে ক্ষুব্ধ জনতা। অশান্তির আঁচ ছিল মঙ্গলবার সকালেও। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কী ভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

ধেমোমেনে তছনছ দোকান। নিজস্ব চিত্র।

ধেমোমেনে তছনছ দোকান। নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
আসানসোল শেষ আপডেট: ২২ জুন ২০১৬ ০৬:১০
Share: Save:

মদের দোকানের পিছন থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠল আসানসোলের ধেমোমেন এলাকা। সোমবার রাতে মদের দোকান ভাঙচুর, রাস্তা অবরোধ করে ক্ষুব্ধ জনতা। অশান্তির আঁচ ছিল মঙ্গলবার সকালেও। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। কী ভাবে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাত ৯টা নাগাদ ধেমোমেনের জিটি রোড লাগোয়া একটি দেশি মদের দোকানের পিছনে বছর চল্লিশের এক ব্যক্তির দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ জানায়, তারকেশ্বর নুনিয়া নামে বছর চল্লিশের ওই ব্যক্তির বাড়ি ধেমোমেনেরই সিপি ধাওড়া এলাকায়। তাঁর পরিবারের দাবি, সে দিন সন্ধ্যায় দুই বন্ধুর সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরোন তারকেশ্বর। ফিরতে দেরি হচ্ছে দেখে বাড়ির লোকেরা খুঁজতে বেরোন। তখনই মদের দোকানের পিছনে দেহ পড়ে থাকার কথা জানতে পারেন তাঁরা।

মাসখানেক ধরে ধেমোমেন এলাকার মহিলারা বেআইনি মদের দোকান বন্ধের জন্য রাস্তায় নেমেছেন। বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে তাঁরা প্রতিবাদও করছেন। ফলে, সেখানে যত্রতত্র গজিয়ে ওঠা মদের ঠেকগুলি কার্যত বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর। এরই মধ্যে একটি মদের দোকানের কাছে দেহ মেলার ঘটনায় বাসিন্দারা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁদের রোষ গিয়ে পড়ে ওই মদের দোকানের উপরে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, মদ খেয়েই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। দোকানটি ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়। মৃতদেহ জিটি রোডে রেখে অবরোধ শুরু হয়। ঘণ্টাখানেক পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, ওই মদের দোকানটি ইসিএলর জমি দখল করে তৈরি হয়েছে। সেটি সেখান থেকে তুলে দিতে হবে। মঙ্গলবার সকালে ঘটনাস্থলে যান কমিশনারেটের এডিসিপি (সেন্ট্রাল) রাকেশ সিংহ। তিনি জানান, পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দু’জনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

ওই দোকানের মালিক দিলীপ মণ্ডল অবশ্য জমি দখল করে দোকান তৈরির কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘এই অভিযোগ একেবারে ঠিক নয়। ওই জমি আমাদের। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র আবগারি দফতরে জমা দিয়েই দোকানের অনুমতি নিয়েছি।’’ আবগারি দফতরের বর্ধমান পশ্চিমের সুপারিন্টেন্ডেন্ট সুদীপ সান্যাল জানান, নিয়ম অনুযায়ী, জমির প্রয়োজনীয় নথিপত্র জমা দিয়েই দোকান তৈরির অনুমতি নিতে হয়। তবে কেউ অন্যের জমিতে দোকান করতে চাইলে জমির মালিকের একটি নো-অবজেকশন শংসাপত্র ও জমির নথিপত্র দিতে হয়। সুদীপবাবু বলেন, ‘‘এ ক্ষেত্রে অভিযোগ যখন উঠেছে আমরা তা খতিয়ে দেখব।’’ ইসিএলের সোদপুর এরিয়ার জিএম অরুণকুমার ঝা বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে খবর নিয়ে জেনেছি যে জমিতে দেকানটি হয়েছে তার সঙ্গে সংস্থার কোনও সম্পর্ক নেই।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

dead body liquor
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE