এলাকার কোথাও জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের জল-সংযোগ নেই। কোথাও বা ইসিএল জল সরবারহ করলেও, তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্ট নয়। কয়েকটি জায়গায় আবার তা-ও নেই। এই পরিস্থিতিতে গরমে ব্যাপক ভোগান্তির মুখে পড়তে হচ্ছে বলে জানান জামুড়িয়ার পরাশিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দাদের একাংশ।
বাসিন্দারা জানান, পরাশিয়া গ্রাম, সাউথ পরাশিয়া, কেন্দাডাঙাল, চালতা ধাওড়া ও কুলডাঙার একাংশে ইসিএল জল সরবরাহ করে। কিন্তু চাটাইধাওড়া, হাটতলা, ঘোষপুকুর এলাকায় কোনও জল সংযোগ নেই। এই পরিস্থিতিতে বাসিন্দাদের ভরসা কুয়ো আর নলকূপ। কিন্তু গরমে সেগুলি থেকেও জল মিলছে না বলে জানান বাসিন্দারা। এর ফলে পঞ্চায়েতের প্রায় ছ’হাজার বাসিন্দাই কম-বেশি সমস্যায় পড়ছেন।
তা ছাড়া ইসিএলের দেওয়া সংযোগ নিয়েও রয়েছে বিস্তর অভিযোগ। সাউথ পরাশিয়ার অসিত মণ্ডল, পরাশিয়ার সুভাষ গোপরা জানান, ইসিএলের জলের ‘মোটর’ এক বার বিকল হলে দিন পনেরো লাগে তা ফের সচল হতে। সেই সময়ে, বেশ খানিকটা দূর থেকে প্রতি দিনের জল আনতে হয়। পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মীনারায়ণ মণ্ডলের অভিযোগ, ‘‘বহু বার জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে সমস্যার সমাধান চেয়ে আর্জি জানিয়েছি। লাভ হয়নি।’’
যদিও এলাকার বাসিন্দা তথা জামুড়িয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি উদিপ সিংহের দাবি, ‘‘জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, সমীক্ষা করে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।’’ ইসিএল সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই চাটাই ধাওড়া ও কুলডাঙার কুয়োগুলিতে প্রতি দিন ট্যাঙ্কারে করে জল এনে ফেলা হচ্ছে। দিন কয়েকের মধ্যে পঞ্চায়েতের মাধ্যমে অন্য পাড়াতেও ট্যাঙ্কারে করে জল পৌঁছে দেওয়ার আশ্বাস দেন ইসিএল কর্তারা।
বিডিও অনুপম চক্রবর্তীর আশ্বাস, ‘‘বাসিন্দারা সমস্যার কথা লিখিত ভাবে জানালে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy