অপেক্ষায়: বর্ধমানের মিষ্টি হাব। নিজস্ব চিত্র
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম দিয়েছিলেন ‘মিষ্টি বাংলা হাব’। কিন্তু কলাপাতার আদলের উপর লেখা রয়েছে— ‘মিষ্টি হাব’! মাঝের ‘বাংলা’ গেল কোথায়? ওই হাব তৈরির দায়িত্বে ছিল বর্ধমান জেলা পরিষদ। অতিরিক্ত জেলাশাসক বাসব বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমরা নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করেছি।” সভাধিপতি দেবু টুডুও বলেন, “নির্দেশনামায় কিন্তু মিষ্টি হাব বলেই লেখা রয়েছে।” গত বছরের অগস্টে প্রশাসনিক সভায় এসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘ল্যাংচা-তীর্থের’ নাম বদল করে ‘মিষ্টি বাংলা হাব’ নাম দেন। উদ্বোধনের আগে সেই নাম ফের বদলে গেল।
মুখ্যমন্ত্রী শুক্রবার আসানসোল পোলো গ্রাউন্ড থেকে রাজ্যের নতুন জেলা ‘পশ্চিম বর্ধমান’ ঘোষণার সঙ্গে ‘মিষ্টি হাবের’ও উদ্বোধন করার কথা। ওই দিন মোট ৩৬টি প্রকল্পের উদ্বোধন করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী। যার মোট মূল্য ১৯৬ কোটি ৬৬ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা। একই সঙ্গে বর্ধমান জেলার ৪০৭ কোটি ৩ লক্ষ ৯৩ হাজার টাকার ৪৯টি প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন। এ ছাড়াও ওই দিন মুখ্যমন্ত্রী নিজের হাতে ৫৫ জনকে বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করবেন।
দ্বিতল মিষ্টি হাবে মোট ৬৪টি দোকান ঘর থাকবে। প্রথম পর্যায়ে ২ কোটি ৫২ লক্ষ ২৯ হাজার টাকা খরচ করে ৩২টি ঘর তৈরি করা হয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) বাসব বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর পরামর্শ মতোই কলাপাতার উপরে মিষ্টি দিয়ে লেখা হয়েছে ‘মিষ্টি হাব’। ওই হাবের দু’পাশে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে ‘বাংলার বারো মাসে তেরো পার্বণ’ চিত্র। শিল্পী পূর্ণেন্দু দে বলেন, “বাংলার কোন পার্বণে, কোন মিষ্টির চল বেশি, তা ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।”
‘মিষ্টি হাব’-এ পনেরোটি দোকান আপাতত খুলবে। সেখানে ঠাঁই পাবে বর্ধমানের সীতাভোগ-মিহিদানা, কাটোয়ার পরানের পান্তুয়া, শক্তিগড়ের ল্যাংচা, কলকাতার দু’টি মিষ্টি প্রস্তুতকারক সংস্থার মিষ্টি, সিউড়ির মোরব্বা, বহরমপুরের ছানার বড়া, হুগলির জলভরা, কৃষ্ণনগরের সরপুড়িয়া-সরভাজা প্রভৃতি। মিষ্টি ব্যবসায়ীদের রাজ্যস্তরে নেতা প্রমোদ সিংহ বলেন, “উদ্বোধনের পরে হাবটি আরও সুন্দর করে সাজাতে আমাদের নিজস্ব ভাবনার প্রয়োগ ঘটানো হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy