Advertisement
১১ মে ২০২৪

‘দেখেই বুঝি বিপদ’

ট্রেন চলে যাওয়ার পরে সীতারামপুর-কুলটি স্টেশনের মাঝামাঝি ওই এলাকায় প্রায় একশো মিটার দূরত্ব থেকে আপ লাইনের দিকে তাকিয়েই বিষয়টা আন্দাজ করেন রেলের মনসুন প্যাট্রলম্যান লল্লনকুমার মাহাতো। সঙ্গী শুভজিৎ মল্লিকের হাত ধরে ছুট! আর তখনই নজরে আসে বড়সড় বিপত্তি।

এই দুই রেলকর্মীই বিপদের বিষয়টি প্রথম নজর করে রেলকর্তাদের জানান। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

এই দুই রেলকর্মীই বিপদের বিষয়টি প্রথম নজর করে রেলকর্তাদের জানান। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০১৮ ০২:৩৯
Share: Save:

মিনিট পনেরো আগেই এই লাইন ধরে চলে গিয়েছে আসানসোল-বারাণসী প্যাসেঞ্জার ট্রেন। তখনও কেউ টের পাননি, দিল্লিগামী গ্র্যান্ড কর্ড রেললাইনে ঘটে গিয়েছে বিপত্তি। কিন্তু ট্রেন চলে যাওয়ার পরে সীতারামপুর-কুলটি স্টেশনের মাঝামাঝি ওই এলাকায় প্রায় একশো মিটার দূরত্ব থেকে আপ লাইনের দিকে তাকিয়েই বিষয়টা আন্দাজ করেন রেলের মনসুন প্যাট্রলম্যান লল্লনকুমার মাহাতো। সঙ্গী শুভজিৎ মল্লিকের হাত ধরে ছুট! আর তখনই নজরে আসে বড়সড় বিপত্তি।

তাঁরা দেখেন, রেল টানেলের মুখে মাটি আলগা হয়ে গিয়েছে। ধসে গিয়েছে গার্ডওয়াল। কিছুক্ষণের মধ্যেই এই লাইন দিয়েই যাবে বেশ কয়েকটি ট্রেন। আর তা হলেই বিপদ অনিবার্য। আর দেরি না করে দু’জনে আসানসোল ডিভিশনের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করেন বলে রেল সূত্রে জানা যায়।

শুক্রবার ঘটনাস্থল থেকে প্রায় একশো মিটার দূরে দাঁড়িয়ে ‘ডিউটি’ করছিলেন দু’জনে। দু’জনের হাতেই লাল পতাকা, গায়ে লাল জামা। রাঁচীর লল্লন বছর পাঁচেক আগে এই ডিভিশনে যোগ দিয়েছেন। এক বছর আগে কাজে যোগ দিয়েছেন নদিয়ার বাসিন্দা শুভজিৎ। দু’জনেরই কথায়, ‘‘লাইন দেখেই বুঝি বিপদ। ও লাইন ধরে ট্রেন যাবে না। একটা মালগাড়ি যাওয়ার সিগন্যাল হয়ে গিয়েছিল। আমরা লাইনে লাল পতাকা গেঁথে কন্ট্রোলে খবর দিই।’’

আসানসোল ডিভিশনের ডিআরএম প্রশান্তকুমার মিশ্র বলেন, ‘‘ওই দুই কর্মীর জন্যই আজ বড়সড় বিপদ রোখা গিয়েছে। দু’জনকেই পুরস্কৃত করা হবে।’’ পুরস্কার পেয়ে খুশি দু’জনেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Monsoon Rail Accident Patrolman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE