সেই জেনারেটর। নিজস্ব চিত্র।
বেশ কয়েক দিন ধরে বিকল হাসপাতালের একমাত্র জেনারেটর। লোডশেডিং হলে থমকে যাচ্ছে যাবতীয় কাজ। এক্স রে-সহ নানা পরীক্ষা আটকে থাকছে। চড়া গরমে সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা। এমনই পরিস্থিতি দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে। জেনারেটর সারাই না হওয়া নিয়ে ক্ষোভ বাড়ছে রোগী ও তাঁদের আত্মীয়দের। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ অবশ্য জানান, দ্রুততার সঙ্গে জেনারেটর সারাইয়ের কাজ চলছে।
দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে একটি জেনারেটর রয়েছে। সেটিও বেশ কিছু দিন ধরে বিকল হয়ে পড়ে রয়েছে। আর এই গরমের দিনে এক বার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হলেই আটকে পড়ছে হাসপাতালের বিভিন্ন কাজ। কোনও গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে গিয়ে বিপাকে পড়তে হচ্ছে চিকিৎসকদেরও। এক্স-রে সহ বিভিন্ন পরীক্ষা করার সময়ে বিদ্যুৎ চলে গেলে তা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। হাসপাতালের কর্মীদের আশঙ্কা, সন্ধ্যার পরে টানা লোডশেডিং চললে আইনশৃঙ্খলা জনিত সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই গরমে প্রায়ই বিদ্যুৎ চলে যায়। হাসপাতালে জেনারেটর থাকাকালীন সঙ্গে সঙ্গে আলোর ব্যবস্থা করা হত। কিন্তু হাসপাতালের জেনারেটর খারাপ হওয়ার পর থেকে সেই সুযোগ আর নেই। ইদানীং বিকেলের দিকে প্রায়ই ঝড়-বষ্টি হচ্ছে দুর্গাপুরে। ঝড় শুরুর সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎও চলে যাচ্ছে। হাসপাতালের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা। অনেক সময়ে লোডশেডিংয়ের পরে তাড়াতাড়ি বিদ্যুৎ চলে এলেও বেশি ঝড়-বৃষ্টি হলে বিদ্যুৎ ফিরে আসতে বেশ খানিকটা সময় লাগছে। সেই সময়েই তৈরি হচ্ছে নানা সমস্যা। যেমন, সপ্তাহ দুয়েক আগে দুর্গাপুরে প্রবল ঝড় হয়েছিল। দুর্গাপুরের বিভিন্ন এলাকা বিদ্যুৎহীন হয়ে রয়েছিল প্রায় ২৪ ঘণ্ট। হাসপাতালেও ছিল একই অবস্থা। ঝড়-বৃষ্টির পরে বিদ্যুৎ না এলে বেশ কিছু সময় পরে বাইরে থেকে জেনারেটর ভাড়া করে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কোনও রকমে পরিস্থিত সামাল দেওয়া হয়।
বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার ফলে বিপাকে পড়ছেন হাসপাতালে থাকাল রোগীরাও। এমনিতেই দুর্গাপুরে গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা বাসিন্দাদের। তার উপরে রোগীদের তো অবস্থা আরও খারাপ। দিন কয়েক আগেই হাসপাতালে চালু হয়েছে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিট। বিদ্যুৎ চলে গেলে সেখানেও সমস্যা তৈরি হতে পারে বলে মত রোগী ও রোগীর আত্মীয়দের। এছাড়া হাসপাতালে রয়েছে বার্ন ইউনিট, এনআইসিইউয়ের মতো বিভাগও। জেনারেটর না থাকার ফলে বিদ্যুৎ চলে গেলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সেই সব বিভাগের রোগীদেরও। এই সমস্যা প্রসঙ্গে হাসপাতাল সুপার দেবব্রত দাস জানান, জেনারেটর সারাইয়ের কাজ চলছে। দ্রুত সমস্যা মিটে যাবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy