সেতুর সংযোগকারী রাস্তার নীচে ও পাশ মিলিয়ে প্রায় চার একর জায়গা রয়েছে। এর মধ্যে পূর্ত দফতরের (সড়ক) বর্ধমান ১ ডিভিশন এক একরের বেশি জায়গা কিনেছিল। ওই জায়গা কী ভাবে ব্যবহার করা হবে, সেটাই বড় চিন্তা জেলা প্রশাসনের। তাই সেতু খুলে যাওয়ার আগেই জেলা প্রশাসন বিভিন্ন দফতরের সঙ্গে বারবার বৈঠক করে ফাঁকা জায়গা ব্যবহারের পরিকল্পনা করছে। বিভিন্ন দফতরকে খসড়া-পরিকল্পনা জমা দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। এ দিকে, নতুন সেতু খুলে যাওয়ার মাসখানেকের মধ্যে কাটোয়া রোডের উপরে থাকা পুরনো উড়ালপুল ভেঙে ফেলার বিষয়েও চিন্তাভাবনা চলছে বলে রেল সূত্রে খবর।
এমন পরিকল্পনার কারণ কী?
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, বর্ধমান স্টেশন লাগোয়া আনাজ, ফল ও মাছের বাজার রয়েছে। জিটি রোডের উপর স্টেশন চত্বরের গা থেকে নতুন তৈরি হওয়া খাদ্য ভবন লাগোয়া এলাকা পর্যন্ত গুমটি রয়েছে। একই ছবি মেহেদিবাগান, কাটোয়া রোডেও। প্রশাসনের দাবি, সেতুর সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হওয়ার পরে তার নীচের জায়গা দখল হতে শুরু হয়েছিল। স্টেশন বাজারের ব্যবসায়ীরা ওই জায়গা দখল করে ‘গুদাম’ তৈরি, ব্যবসা, অবৈধ পার্কিং স্ট্যান্ড তৈরির তোড়জোড় করছিলেন। এই পরিস্থিতিতে ওই জায়গা রেলওয়ে বিকাশ নিগম লিমিটেড (আরভিএনএল) অস্থায়ী ভাবে ঘিরতে শুরু করেছে। একই সঙ্গে আরভিএনএল, পূর্ত দফতর, জেলা পরিষদ, পুরসভা-সহ সরকারের অন্য দফতরের সঙ্গে সমন্বয় বৈঠকও শুরু করেছে জেলা প্রশাসন।