পুরপ্রধানকে অপসারণের সাত দিনের মধ্যে সভা ডেকে নতুন পুরপ্রধান বেছে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু উপ-পুরপ্রধান সেই সভা না ডাকায় ৪ জুন বিশেষ সভা ডাকল প্রশাসন। বুধবার জেলাশাসকের তরফে পুর আইন অনুযায়ী গুসকরার ওই পদ পূরণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সেই মর্মে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
মাসখানেক ধরেই গুসকরার পুরপ্রধান ও দলেই তাঁর বিরোধী গোষ্ঠীর মধ্যে নানা বিষয়ে গোলমাল চলছিল। একে অপরের দুর্নীতির নানা অভিযোগ আনা তো বটেই পুরসভার মধ্যে দুই কাউন্সিলরের মারামারির ঘটনাও ঘটে। পুরসভার তৃণমূল ও সিপিএম কাউন্সিলরেরা মিলে পুরপ্রধানকে অপসারণেরও সিদ্ধান্ত নেন। তৃণমূলের উপর মহলের নির্দেশের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কমেনি। শেষ পর্যন্ত আদালতের নির্দেশেই ২৩ মে বিশেষ তলবি সভা ডেকে বুর্ধেন্দু রায়কে অপসারণের সিদ্ধান্ত নেন অন্য কাউন্সিলরেরা। যদিও সেই সভাতেও গোলমাল বাধে। পুরসভায় স্থিতাবস্থা চলতে থাকে। আগামী ৪ জুন সেই কারণেই নতুন পুরপ্রধান বাছা হবে বলে দাবি বুর্ধেন্দু বিরোধী গোষ্ঠীর।
যদিও গুসকরার পুরপ্রধান বুর্ধেন্দু রায় বলেন, ‘‘এ ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। বরং আমি যখন পুরপ্রধান হই তখন দলের সর্বভারতীয় নেতা মুকুল রায় লিখিত ভাবে হুইপ জারি করেছিলেন।’’ পুরপ্রধান হিসেবে যাঁর নাম শোনা যাচ্ছে সেই চঞ্চল গড়াইও বলেন, ‘‘এখনও কিছু জানি না।’’ যদিও তাঁকেই পুরপ্রধান হিসেবে বাছা হবে বলে দাবি কাউন্সিলর নিত্যানন্দ চট্টোপাধ্যায়ের। আর তৃণমূলের পর্যবেক্ষক অনুব্রত মণ্ডল বলেন, ‘‘কোনও হুইপ জারি করা হয়নি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy