Advertisement
E-Paper

মার প্রধান শিক্ষিকাকে, অভিযোগ মেমারিতে

ছাত্রীদের মারধর করা হয়েছে দাবিতে প্রধান শিক্ষিকার চুলের মুঠি ধরে মারধরের অভিযোগ উঠল বর্ধমানের মেমারির স্কুলে। রসিকলাল স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নীলিমা ভট্টাচার্যের অভিযোগ, এক দল অভিভাবক তাঁর ঘরে ভাঙচুর চালান।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৫ এপ্রিল ২০১৭ ০৩:৩৬
প্রহৃত প্রধান শিক্ষিকা। নিজস্ব চিত্র

প্রহৃত প্রধান শিক্ষিকা। নিজস্ব চিত্র

ছাত্রীদের মারধর করা হয়েছে দাবিতে প্রধান শিক্ষিকার চুলের মুঠি ধরে মারধরের অভিযোগ উঠল বর্ধমানের মেমারির স্কুলে।

রসিকলাল স্মৃতি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নীলিমা ভট্টাচার্যের অভিযোগ, এক দল অভিভাবক তাঁর ঘরে ভাঙচুর চালান। এই মর্মে মেমারি থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন তিনি। ছাত্রীরাও মারধরের পাল্টা অভিযোগ করেছে।

স্কুল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে ক্লাস চলাকালীন ষষ্ঠ শ্রেণির কিছু ছাত্রী প্রধান শিক্ষিকার সঙ্গে দেখা করতে যায়। ছাত্রীদের দাবি, সরস্বতী পুজো হওয়ার এত দিন পরে স্কুলের তরফ থেকে ছাত্রীদের কাছে ৬০ টাকা করে চাঁদা চাওয়া হচ্ছে। তা নিয়ে তারা কথা বলতে গিয়েছিল। ছাত্রীদের অভিযোগ, সে কথায় কান না দিয়ে প্রধান শিক্ষিকা তাদের মারধর করে ক্লাসে পাঠান। খবর পেয়ে এলাকার এক তৃণমূল নেতার দাদা স্নেহাশিস ঘোষ দস্তিদার কিছু অভিভাবককে নিয়ে স্কুলে যআন। প্রধান শিক্ষিকার কাছে কৈফিয়ত চান, কেন তাঁদের বাড়ির মেয়েদের মারধর করা হল?

প্রধান শিক্ষিকার বক্তব্য, ‘‘ছাত্রীদের মারের প্রশ্ন ওঠে না।’’ তাঁর অভিযোগ, ‘‘উল্টে অভিভাবকেরা ভাঙচুর করেন। আমার দিকে লাঠি নিয়ে, জুতো উঁচিয়ে তেড়ে আসেন।’’ স্কুল-কর্মীরা বাধা দিতে গেলে তাঁদেরও হুমকি দেওয়া হয়। প্রধান শিক্ষিকার দাবি, ঘটনার পিছনে রয়েছেন স্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক তথা মেমারির উপপুরপ্রধান তৃণমূলের সুপ্রিয় সামন্ত। পরিচালন সমিতির সঙ্গে নানা ব্যাপারে প্রধান শিক্ষিকার মতবিরোধ। তার জেরেই এই ঘটনা। সুপ্রিয়বাবু বলেন, ‘‘প্রধান শিক্ষিকার জন্য স্কুলে ঠিকঠাক ক্লাস হয় না। মিড-ডে মিলেও সমস্যা। ফলে, অভিভাবকদের ক্ষোভের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। তা ছাড়া, প্রধান শিক্ষিকাকে মারধর করা হয়নি।’’ শিক্ষিকাকে মারধরের অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন স্নেহাশিসবাবুও।

গোলমালের খবর পেয়ে জেলা স্কুল পরিদর্শক (মাধ্যমিক) খগেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘‘১২ এপ্রিল সব পক্ষকে ডাকা হয়েছে। সব পক্ষের বক্তব্য শুনে যা করার, করা হবে।’’ কিন্তু সরস্বতী পুজোর এত দিন পরে চাঁদা চাওয়া হল কেন? প্রধান শিক্ষিকা জানান, বিশেষ কারণে সরস্বতী পুজোয় ছাত্রীদের খাওয়ানো যায়নি। তার জন্যই ওই চাঁদা চাওয়া হয়েছে।

Memari Headmistress beaten
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy