ওষুধের দোকানে ফার্মাসিস্ট না থাকা, পাকা বিল না দেওয়ার মতো অভিযোগ উঠছিলই। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার ভেষজ নিয়ন্ত্রণ অধিকারিকদের নিয়ে কালনার একাধিক ওষুধের দোকানে অভিযান চালালেন মহকুমাশাসক। মহকুমা প্রশাসনের দাবি, তিনটি দোকানে অজস্র গাফিলতি মিলেছে। বৃহস্পতিবার ভেষজ নিয়ন্ত্রণ অধিকর্তার দফতরে গিয়ে সে সবের জবাব দিতেও বলা হয়েছে দোকান মালিকদের।
সম্প্রতি কালনা শহরের বেশ কয়েকটি দোকানের বিরুদ্ধে রোগীকে ঠকানোর অভিযোগ করেন পরিজনেরা। তাঁদের অভিযোগ, কিছু কিছু দোকান উন্নত মানের ওষুধের বদলে ক্রেতাদের বুঝিয়ে সুজিয়ে নিম্ন মানের ওষুধ বিক্রি করছে। সরকারি বিধি নিষেধও মানা হচ্ছে না। এমনকী, দীর্ঘদিন ধরে অভিযান না হওয়ায় দোকানগুলিতে বেআইনি কাজকর্ম বাড়ছে বলে তাঁদের দাবি। এরপরেই অভিযানের সিদ্ধান্ত নেন মহকুমাশাসক নিতীন সিংহানিয়া। এ দিন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট অনিরুদ্ধ নন্দীর সঙ্গে ভেষজ নিয়ন্ত্রণ দফতরের দুই আধিকারিক মহকুমা হাসপাতালের সামনে একটি দোকান থেকে অভিযান শুরু করেন। দেখা যায়, দোকানের রেফ্রিজারেটরে রাখা সমস্ত ওষুধই মেয়াদ উত্তীর্ণ। দোকানে কোনও ফার্মাসিস্টেরও দেখা মেলেনি। এ ছাড়া ওষুধ বিক্রির পরে রসিদ দেওয়া হয় না বলেও অভিযোগ। ভেষজ নিয়ন্ত্রণ দফতরের কর্তারা দোকান থেকে বেশ কিছু ওষুধের ব্যাচ নম্বর, মেয়াদের সময়, কোম্পানির নাম সংক্রান্ত তথ্য নিয়ে যান।
পরের গন্তব্য শহর ঘেঁষা রামেশ্বরপুর। সেখানে গিয়ে তাজ্জব বনে যান কর্তারা। দেখা যায়, ওষুধ রাখার ফ্রিজটাই বন্ধ। বন্ধ ফ্রিজে রাখা মেয়াদ পেরোনো ওষুধ। এমনকী, ভেষজ নিয়ন্ত্রণ দফতরের লাইসেন্সও টাঙানো ছিল না। ফার্মাসিষ্ট কোথায় প্রশ্ন করলে দোকানের এক কর্মী জবাব দেন, তিনি খেতে গিয়েছেন। কোনও রসিদ বইয়েরও দেখআ মেলেনি। বৈদ্যপুর মোড়ের রেললাইন পেরিয়ে একটি নার্সিংহোমের নীচতলায় একটি ওষুধের দোকান রয়েছে। সেখানে আবার কম্পিউটারে রসিদ দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও ফার্মাসিস্টের দেখা মেলেনি। ওষুধপত্র মেঝেতে ছড়ানো অবস্থায় দেখা যায়।
অনিরুদ্ধবাবু বলেন, ‘‘গরমিলগুলির জবাব জানাতে বলা হয়েছে তিনটি দোকানের মালিককে। বেশ কিছু ওষুধের নথি পরীক্ষা করেও দেখা হয়েছে।’’ মহকুমা প্রশাসনের দাবি, লাগাতার এই অভিযান চলবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy