এই নির্মাণ নিয়েই বিতর্ক। নিজস্ব চিত্র।
বেআইনি ভাবে পুকুর ভরাটের অভিযোগ নতুন নয়। কিন্তু এ বার জমির মালিকানা নিয়ে আদালতের বিচারাধীন একটি বিতর্কিত জায়গা দখল করে একচালা অফিস তৈরির অভিযোগ উঠল তৃণমূল সমর্থিত টোটো ইউনিয়নের বিরুদ্ধে। কাটোয়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ডাকবাংলো রোডের ঘটনা। শুধু তাই নয়, নিষেধ সত্ত্বেও নির্মাণ কাজ চলেছে বলে দাবি তৃণমূল বিধায়কের।
প্রশাসনর সূত্রে জানা গিয়েছে, কাটোয়া জেলখানার পশ্চিম দিকে ডাকবাংলো রোডে ৫৭১ দাগ নম্বরে ৪২শতকের একটি পুকুর ও লাগোয়া খানিকটা জায়গা রয়েছে। ওই জায়গার মালিকানা নিয়েই বিতর্ক রয়েছে। পূর্ত দফতরের দাবি জায়গাটি তাদের। আবার স্থানীয় বাসিন্দা জয়মাল্য ঘোষের দাবি, জায়গাটি তাঁর।
২০১১ সালে গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষা সমিতির কাটোয়া শাখার তরফে তথ্যের অধিকার আইনে জানতে চাওয়া হয়, ওই জায়গাটি আদৌ পূর্ত দফতরের কি না। পরে তৎকালীন পূর্ত বিভাগের সহকারি জানান, জায়গাটি কোনও অবৈধ দখলদারের হাতে থাকলে তা মুক্ত করার চেষ্টা করা হবে। ওই বছরেই জায়গার মালিকানা নিয়ে জয়মাল্যবাবু ও পূর্ত দফতেরর মধ্যে মামলা শুরু হয় কাটোয়া আদালতে। তারপর থেকে ওই জায়গা ফাঁকাই পড়ে ছিল।
অভিযোগ, বিচারাধীন ওই জায়গাটিতে প্রশাসনের নাকের ডগায় গত কয়েক মাস ধরেই ওই সরকারি জায়গার একাংশে মাটি খোঁড়া ও ঘর তৈরির কাজ চলছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এখন ওই এলাকায় গেলে প্রায় ২০০ স্কোয়ার ফুটের অফিস ঘরটি তৈরি হয়েছে। চলতি বছরের ৬ অগস্ট জায়গার বেদখল রুখতে রাজ্য সরকারে পূর্ত দফতরের কাছে আবেদন করেন এপিডিআর-এর কাটোয়া শাখার সম্পাদক সুব্রত চৌধুরী।
তবে পূর্ত দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আদালতে মামলা চলায় জায়গাটি পাঁচিল দিয়ে ঘেরা সম্ভব হয়নি। পূর্ত দফতরের মহকুমার সহকারি ইঞ্জিনিয়ার কৃষ্ণেন্দু দাশগুপ্তের অভিযোগ, ‘‘দফতরের কর্মীরা এলাকায় গিয়ে নির্মাণ কাজ তৈরির জন্য বলেন। পরে পুলিশকর্মীরাও যান। কিন্তু লাভ হয়নি। এরপরেই থানায় অভিযোগ দায়ের করি। ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতর, এসডিপিও, মহকুমাশাসকেও বিষয়টি জানানো হবে।’’
যদিও যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করে টোটো ইউনিয়নের সম্পাদক গৌতম দাসের বক্তব্য, ‘‘ওখানে তো অন্য দোকান, ক্লাব রয়েছে। তাহলে কি সবাই বেআইনি ভাবে রয়েছেন!’’ তবে নির্মাণটি অবৈধ স্বীকার করেই বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, ‘‘ওদের বারবার বারণ করলেও শোনেননি। এরপরে যা ব্যবস্থা নেওয়ার প্রশাসন নেবে।’’ এসডিপিও শচিন মাঁকড় বলেন, ‘‘বিডিও-কে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy