Advertisement
০৫ মে ২০২৪

বর্ধমান রাজ কলেজ গোলমালের আশঙ্কায় ভোট বাইরে

সাধারণ ভাবে, ছাত্র হোক বা শিক্ষক প্রতিনিধি, সেই নির্বাচন কলেজেই হয়। কিন্তু রাজ কলেজের ওই ‘ব্যতিক্রমী’ সিদ্ধান্তে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। আজ, শুক্রবার প্রশাসনের কর্তা ও পুলিশের উপস্থিতিতে ওই নির্বাচন হওয়ার কথা।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৭ ০০:৩৮
Share: Save:

গোলমালের আশঙ্কায় রাজ কলেজের পরিচালন সমিতির শিক্ষক-প্রতিনিধি নির্বাচন হতে চলেছে বর্ধমান উন্নয়ন পর্ষদের (বিডিএ) সভাঘরে।

সাধারণ ভাবে, ছাত্র হোক বা শিক্ষক প্রতিনিধি, সেই নির্বাচন কলেজেই হয়। কিন্তু রাজ কলেজের ওই ‘ব্যতিক্রমী’ সিদ্ধান্তে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। আজ, শুক্রবার প্রশাসনের কর্তা ও পুলিশের উপস্থিতিতে ওই নির্বাচন হওয়ার কথা।

কলেজ সূত্রে জানা যায়, রাজ কলেজে এই মূহুর্তে কোনও পরিচালন সমিতি নেই। জেলাশাসককে প্রশাসক হিসেবে নিয়োগ করেছে রাজ্য সরকার। তাঁর অভিভাবকত্বেই কলেজ পরিচালনা হচ্ছে। পরিচালন সমিতির গঠনের জন্য রাজ কলেজে তিন জন শিক্ষক প্রতিনিধি ও এক জন অশিক্ষক প্রতিনিধি আবশ্যিক। অধ্যক্ষ নিরঞ্জন মণ্ডল বলেন, “মোট ৭২ জন শিক্ষকের ভোটে পরিচালন সমিতিতে তাঁদের তিন জন প্রতিনিধি নির্বাচন হবে। গোপন ব্যালটে ভোট নিয়ে এক দিনেই সমস্ত প্রক্রিয়া শেষ করা হবে।”

কলেজের প্রাক্তন টিচার-ইন-চার্জ তথা শিক্ষক তারকেশ্বর মণ্ডলের প্রশ্ন, “শিক্ষকরা এমন কী করলেন, যার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথাকে লঙ্ঘন করে বাইরে নির্বাচন করাতে হবে! তাহলে তো বলতে হয়, ছাত্ররা আমাদের মতো শিক্ষকদের চেয়ে অনেক বেশি সভ্য।” তাঁর মতো আরও কয়েকজন শিক্ষক মনে করেন, কলেজের ভিতর শিক্ষক-নির্বাচনে গোলমালের আশঙ্কা করে অধ্যক্ষ সরকারকেই অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছেন। উনি কলেজের ভিতরেই পর্যাপ্ত পুলিশ দিয়ে ভোট করাতে পারতেন বলেও তাঁদের দাবি।

যদিও অধ্যক্ষের সিদ্ধান্তের সমর্থনেও রয়েছেন অনেকে। রবিশঙ্কর চৌধুরীর মতো বেশির ভাগ শিক্ষকই মনে করেন, শিরদাঁড়া সোজা রেখে শিক্ষক-প্রতিনিধি নির্বাচন কলেজের বাইরে নিয়ে গিয়ে ঠিক কাজই করেছেন অধ্যক্ষ। তাঁদের দাবি, প্রশাসনের পরিধিতে নির্বাচন হলে বহিরাগতরা টুঁ শব্দ করতে পারবে না। ফলে কলেজের শিক্ষকরা নিজেদের মত স্বাধীন ভাবে প্রয়োগ করতে পারবেন। রবিশঙ্করবাবুর দাবি, “বিগত ভোটগুলিতে আমরা কলেজের ভিতর ঢুকতেই পারতাম না। বহিরাগত বা পুলিশ দিয়ে আমাদের আটকে দেওয়া হত। সে জন্য কলেজের বাইরে প্রশাসনের চৌহদ্দিতে ভোট করার আবেদন করেছিলাম।’’

অধ্যক্ষ নিরঞ্জনবাবু বলেন, “বিগত দিন ও বর্তমান সময়ের পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে বেশির ভাগ শিক্ষকদের দাবিতে সহমত পোষণ করেছি।” জেলাশাসক অনুরাগ শ্রীবাস্তব জানান, অধ্যক্ষের অনুরোধ মেনে বিডিএ-র ঘরে নির্বাচন করার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ-সমূহের পরিদর্শক (আইসি) সুজিত চৌধুরীর কথায়, “এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্পষ্ট কোনও নিয়ম নেই। কলেজ কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE