ভাঙছে পাড়। —নিজস্ব চিত্র।
নদী ভাঙনের ফলে ভাগীরথীর গর্ভে হারিয়ে গিয়েছে এই দুই গ্রামের বহু খেত জমি। সম্প্রতি কালনার কালীনগর ও পেয়ারিনগর গ্রামে ভাঙন প্রতিরোধে পদক্ষেপ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু বাসিন্দাদের দাবি, বাঁশের খাঁচায় পাথর ফেলে ভাগীরথীর পাড়ের ভাঙন রোধ করা সম্ভব নয়।
বহু দিন ধরেই ধাত্রীগ্রাম পঞ্চায়েতের কালীনগর গ্রামে ভাঙনের সমস্যা রয়েছে। ভাঙনের ফলে খেত জমি, বসত বাড়ি নদীতে তলিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। ভাঙনের ভয়ে বহু বাসিন্দা ভিটে-মাটি ছাড়তেও বাধ্য হয়েছেন বলে দাবি। বাসিন্দারা জানান, গ্রাম ও লাগোয়া প্রায় চার কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভাঙনের সমস্যা রয়েছে। সবথেকে হাল খারাপ পশ্চিমপাড়ার। নদীর অন্য পাড়ে রয়েছে পেয়ারিনগর। বাসিন্দারা জানান, তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে গ্রামে ভাঙনের সমস্যা রয়েছে। বহু বাসিন্দা গ্রাম ছেড়ে মালতিপুর-সহ বিভিন্ন জায়গায় উঠে গিয়েছেন।
সম্প্রতি মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ সেচ দফতরের কাছে গ্রামের ভাঙন রোধে পদক্ষেপ করার আবেদন জানান। দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, কালীনগর গ্রামের ৮৫০ মিটার এলাকায় ভাঙন প্রতিরোধে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৩৫ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পেয়ারিনগর গ্রামের জন্য বরাদ্দ হয়েছে ১ কোটি ৫৩ লক্ষ ১১ হাজার ৫৯৪ টাকা। ইতিমধ্যে একটি ঠিকাদার সংস্থা কাজও শুরু করে দিয়েছে।
তবে বাসিন্দারা জানান, আগেও ভেটিভার ঘাস ও বাঁশের খাঁচায় পাথর দিয়ে পাড় বাঁধানোর চেষ্টা করা হলেও লাভ হয়নি। যদিও স্বপনবাবুর আশ্বাস, ‘‘আপাতত খাঁচা ফেলে ভাঙন ঠেকানো হবে। পরে পাড় বাঁধিয়ে পাকাপাকি ভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy