অনাস্থা প্রস্তাবের উপরে ভোটাভুটিতে হেরে সালানপুরের ফুলবেড়িয়া পঞ্চায়েত হাতছাড়া হল বামেদের। বুধবার সেই ভোটাভুটিতে দু’জন বাম সদস্য তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেন। সিপিএমের দাবি, লোভে পড়ে ওই দুই জন এমন কাজ করেছেন। তৃণমূল নেতাদের দাবি, উন্নয়নে সামিল হতেই দলবদল করেছেন বাম সদস্যেরা।
ফুলবেড়িয়া-বোলকুণ্ডা পঞ্চায়েতে মোট ছ’টি আসন। ২০১৩ সালে চারটিতে জিতে বামেরা পঞ্চায়েতটি দখল করে। তৃণমূলের দখলে যায় দু’টি। বিদায়ী পঞ্চায়েত প্রধান ছোটন বাউড়ি বুধবার জানান, পনেরো দিন আগে তৃণমূল তাঁদের বোর্ডের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। বুধবার তার উপরে ভোটাভুটি হয়। ছোটনবাবুর দাবি, তাঁরা আগেই জেনেছিলেন, তাঁদের দুই সদস্য তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেবেন। তাই তিনি ও আর এক বাম সদস্য চায়না মণ্ডল ভোটাভুটিতে হাজির থাকার প্রয়োজন মনে করেননি। অন্য দুই বাম সদস্য ফরওয়ার্ড ব্লকের শিল্পী চট্টোপাধ্যায় এবং সিপিএমর মামনি বাউড়ি তৃণমূলের পক্ষে ভোট দেওয়ায় চারটি আসন পেয়ে পঞ্চায়েতের দখল নিল তৃণমূল। ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সাত দিনের মধ্যেই পঞ্চায়েতের নতুন প্রধান দায়িত্ব নেবেন।
দলত্যাগী বাম সদস্যেরা দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে ভাবে উন্নয়নমূলক কাজ করছেন, তাতে সামিল হতেই তাঁরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। বুধবার ভোটাভুটির সময়ে পঞ্চায়েত কার্যালয়ে ছিলেন সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শ্যামল মজুমদার। তিনি বলেন, ‘‘ওঁরা অনেক দিন ধরেই আমাদের সঙ্গে উন্নয়নের কাজ করতে চাইছিলেন। আমরা তাঁদের সেই সুযোগ দিয়েছি।’’ সিপিএমের সালানপুর অঞ্চল কমিটির সম্পাদক নুরুল ইসলামের পাল্টা প্রতিক্রিয়া, ‘‘আমাদের সদস্যদের লোভ দেখিয়ে দলে টেনেছে তৃণমূল। এলাকাবাসী তা ভাল ভাবে নিচ্ছেন না।’’
এ দিনের পরে সালানপুর ব্লকে ১১টি পঞ্চায়েতের ৯টিতেই ক্ষমতায় তৃণমূল। দু’টি রয়েছে বামফ্রন্টের দখলে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy