E-Paper

রেলগেটের রাস্তায় দুর্ঘটনা, ব্যবস্থার আর্জি বাসিন্দাদের

প্রতিদিন রেলগেট পেরিয়ে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। তাঁরা জানান, সালানপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলের রোগীরা গ্রামীণ হাসপাতালে যান গেটটি পেরিয়ে। প্রত্যেকেই সমস্যায় পড়ছেন।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:৫০
এমনই অবস্থা রেলগেটের। রূপনারায়ণপুরে।

এমনই অবস্থা রেলগেটের। রূপনারায়ণপুরে। নিজস্ব চিত্র।

রেলগেটের রাস্তা খন্দে ভরা। পাথর উঠে গিয়ে হাঁ হয়ে বেরিয়ে এসেছে রেললাইন। দ্রুত গতির ট্রেন যাতায়াত করলে পাথর ছিটকে এসে জখম হচ্ছেন স্থানীয়েরা। দুর্ঘটনায় পড়ছেন স্কুটার, মোটরবাইক চালক থেকে টোটো, অটোর যাত্রীরা, এমনই অভিযোগ করছেন রূপনারায়ণপুরের বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, রেলকে বার বার জানানো হলেও সমস্যার সমাধান হয়নি। রূপনারায়ণপুর শহরের মাঝ দিয়ে গিয়েছে হাওড়া-নয়াদিল্লি প্রধান রেললাইন। লাইনটি পারাপারের জন্য রূপনারায়ণপুরের কাছে রয়েছে রেলগেটটি।

সেটির এক দিকে আছে রূপনারায়ণপুর, ডাবর, সামডি। রয়েছে সালানপুরের ব্লক, পঞ্চায়েত সমিতির অফিস। অন্য দিকে রয়েছে পিঠাইকেয়ারি, ফকরাডি, বৃন্দাবনি, মাজলাডিহি, চিতলডাঙা-সহ কয়েকটি গ্রাম ও সালানপুর ব্লক গ্রামীণ হাসপাতাল, রূপনারায়ণপুর পঞ্চায়েত অফিস। প্রতিদিন রেলগেট পেরিয়ে অন্তত ৩০ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন। তাঁরা জানান, সালানপুর ব্লকের বিস্তীর্ণ গ্রামাঞ্চলের রোগীরা গ্রামীণ হাসপাতালে যান গেটটি পেরিয়ে। প্রত্যেকেই সমস্যায় পড়ছেন।

স্থানীয় বাসিন্দা তথা প্রাক্তন কলেজ শিক্ষক অনাথবন্ধু চট্টোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “কার্যত জীবন বাজি রেখে রেলগেট পেরোতে হয়।” পিঠাইকেয়ারি গ্রামীণ হাসপাতালের চিকিৎসক অমরেশ মাজির দাবি, “স্থানীয়দের পথ-নিরাপত্তার জন্যই রেলগেটের রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার করা দরকার।” এই এলাকায় গত কয়েক দিনে পর পর কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি যাত্রিবাহী একটি টোটো রাস্তা থেকে বেশ কিছুটা উঠে আসা রেললাইনে বেসামাল হয়ে উল্টে যায়। যাত্রীরাও চোট পান। রেলগেটের কাছেই বাড়ি পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষ (পূর্ত) মহম্মদ আরমানের। তিনি বলেন, “প্রতিদিন এই বেহাল রাস্তা দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। কেন্দ্রের সব কিছুই এমন বেহাল।”

গেট লাগোয়া একটি দোকানের মালিক রীতেশ কর্মকার জানান, সব সময় সজাগ থাকতে হয়। সালানপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কৈলাসপতি মণ্ডল জানান, বাসিন্দারা সমস্যার কথা জানিয়েছেন। রেলগেটের এই অংশটুকু রেলেরই মেরামত করার কথা। রেল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে পদক্ষেপ করা হবে। রেলের আসানসোল ডিভিশনের জনসংযোগ আধিকারিক আশিস ভট্টাচার্যের প্রতিক্রিয়া, “এলাকায় মেনলাইনের কাজ হচ্ছিল। তা শেষ হয়েছে। এ বার রেলগেট লাগোয়া রাস্তাটির সংস্কার করা হবে। দ্রুত সমস্যা মিটবে।”

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Rupnarayanpur

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy