প্রতীকী ছবি
রেশনের গণবণ্টন ব্যবস্থা তদারক করতে হবে, অনিয়ম রুখতে হবে শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের। মূলত প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের জন্য মহকুমাশাসক (দুর্গাপুর) অনির্বাণ কোলের এমন নির্দেশ ঘিরে বিতর্ক তৈরি হয়েছে শিক্ষক মহলে। নির্দেশের বিরোধিতা করেছে বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠনগুলি। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অবশ্য বলেন, ‘‘নির্দেশিকাটি বাতিল করতে বলা হয়েছে।’’
বুধবার জারি হওয়া ওই নির্দেশিকায় বলা হয়েছিল, দুর্গাপুর পুরসভা এলাকার সব রেশন দোকানে এক জন করে শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী গিয়ে রেশন বিলির কাজ তদারক করবেন। এর পরেই সরব হয় বিভিন্ন শিক্ষক সংগঠন। ‘তৃণমূল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’র রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র বলেন, ‘‘রেশন ব্যবস্থা দেখা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা করা শিক্ষকদের কাজ নয়। শিক্ষকেরা এই নির্দেশিকা পেয়ে অপমানিত। শিক্ষামন্ত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছিলাম।’’
কেন এই নির্দেশিকা, তা বলেননি মহকুমাশাসক। কেন ওই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল তা না ভেঙে জেলাশাসক (পশ্চিম বর্ধমান) পূর্ণেন্দু মাজি বলেন, ‘‘নির্দেশিকার বিষয়ে বুধবার জেনেছি। ওই শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীদের দিয়ে রেশনের কাজ করানো হচ্ছে না। সবাই নিরাপদে থাকুন। আমরা মাঠে রয়েছি।’’
নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়, শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা উপভোক্তারা রেশনের সামগ্রী ঠিক পরিমাণে পাচ্ছেন কি না, সামাজিক দূরত্ববিধি মানা হচ্ছে কি না, এ সব দেখবেন। মোট ৭৬ জন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী তালিকা দিয়ে কোন রেশন দোকানে তাঁদের দায়িত্ব পালন করতে হবে, তা-ও জানানো হয়েছিল। এ প্রসঙ্গে বামপন্থী শিক্ষক সংগঠন ‘নিখিলবঙ্গ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি’র রাজ্য সভাপতি দেবাশিস দত্ত বলেন, ‘‘রেশন দোকানে শিক্ষকদের যেতে হলে এলাকাবাসীর সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি তৈরি হওয়ার আশঙ্কা থাকত।’’
নির্দেশিকা প্রসঙ্গে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুর্গাপুরের শিক্ষক, শিক্ষাকর্মীরা জানান, এই কাজে তাঁদের কোনও রকম অভিজ্ঞতা নেই। তা হলে এই কাজ কেন তাঁদের করতে বলা হয়েছিল, তা বুঝে উঠতে পারেননি তাঁরা। দ্বিতীয়ত, এই মুহূর্তে রেশন দোকান দু’বেলা খোলে। ফলে, দু’বেলা টানা রেশন দোকানে গিয়ে দায়িত্বপালন করা তাঁদের পক্ষে কঠিন। তৃতীয়ত, অনলাইন ক্লাস, মিড-ডে মিলের খাদ্যসামগ্রী বিলি-সহ নানা কাজের মধ্যে কী ভাবে রেশনের কাজ করা সম্ভব, তা নিয়েও প্রশ্ন ছিল তাঁদের।
রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক অবশ্য বলেন, ‘‘রেশনের লাইন দেখার জন্য সিভিক ভলান্টিয়ারদের দায়িত্ব দেওয়া আছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy