একে বছর শেষের হিসেব-নিকেশ, তার উপর পুরনো নোট বদলের ভিড়, এই পরিস্থিতিতে লিঙ্ক না থাকায় মুশকিলে পড়েছে কালনার একাধিক ব্যাঙ্ক ও সরকারি কার্যালয়। তাদের দাবি, সপ্তাহ খানেক ধরে বিএসএনএল-এর পরিষেবা না থাকায় সমস্ত কাজকর্মই পিছিয়ে যাচ্ছে।
২৩ ডিসেম্বর থেকে কালনা ১ ব্লকের ধাত্রীগ্রাম, সিমলন, সহজপুর, নিভুজি এবং বাঘনাপাড়া এলাকায় বিএসএনএলের পরিষেবা অকেজো হয়ে পড়ে। বাসিন্দাদের দাবি, ধাত্রিগ্রামে ৩টি, সহজপুর এবং বাঘনাপাড়া এলাকায় একটি করে ব্যাঙ্ক রয়েছে যাদের ব্রড ব্যান্ড পরিষেবা ভেঙে পড়ায় গ্রাহকদের পরিষেবা দিতে সমস্যা হচ্ছে। ব্যাঙ্কগুলির দাবি, অন্য একটি বেসরকারি সংস্থার সংযোগ দিয়ে আপাতত কাজ চালানো হচ্ছে। শুক্রবার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অনুপকুমার দত্ত বলেন, ‘‘সপ্তাহ খানেক ধরে পরিষেবা নেই। এখনও যে গ্রাহকদের বিক্ষোভের মুখে পড়তে হয়নি এই অনেক।’’
বিষয়টি নিয়ে ক্ষুব্ধ স্থানীয় বিএসএনএলের কর্মচারীরাও। তাঁদের অভিযোগ, বারবার জানানোর পরেও কর্তাদের অনেকেই গা করেননি। তাঁদের দাবি, বারবার একই ঘটনা ঘটছে। পরিষেবার উন্নতি চেয়ে সিজেএমের কাছে অভিযোগও করেছেন তাঁরা। কর্মীরা জানান, কালনা মহকুমা এক্সচেঞ্জের অধীনে গ্রামীণ এলাকায় আরও ১৯টি এক্সচেঞ্জ রয়েছে। বেশির ভাগই তালাবন্ধ। তাঁদের দাবি, সাধারণ মানুষ তো বটেই অনেক সরকারি অফিসও বিএসএনএল সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে অন্য সংযোগের দিকে ঝুঁকছেন। মহকুমা কৃষি দফতরের এক আধিকারিক জানান, এই সমস্যা পড়ে তাঁরাও বিএসএনএল ছেড়ে অন্য সংযোগ নিয়েছেন।
তবে বিএসএনএলের কালনা মহকুমার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক রূপনাথ সরেনের দাবি, সমুদ্রগড় এলাকায় অপটিক্যাল ফাইবারের সমস্যা হওয়ায় পরিষেবা ব্যহত হয়েছিল। গাড়ি চলাচল সহ নানা কারনে অপটিক্যাল ফাইবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। লোকবল কম থাকায় কাটোয়া থেকে বিশেষজ্ঞ এনে লাইন চালু করতে কিছুটা সময় লাগছে বলেও তাঁর দাবি। তবে আজ, শনিবার থেকে পরিষেবা স্বাভাবিক হবে বলে তাঁর আশ্বাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy