দুর্গাপুর আদালত। —নিজস্ব চিত্র।
আইনজীবীদের একটি সূত্রে জানা যাচ্ছে, এই আদালতে প্রায় কুড়ি হাজার মামলা জমে রয়েছে। এমনই পরিস্থিতি দুর্গাপুর আদালতের। আইনজীবীদের অভিযোগ, এজলাসের সংখ্যা পর্যাপ্ত নয়। ফলে, বিচার-প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। দিনের পর দিন মামলার পাহাড় জমছে। দ্রুত বিচারক ও এজলাসের সংখ্যা বাড়ানোর আর্জি জানিয়েছেন আইজীবীরা।
বর্তমানে আসানসোল-দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদের একটি পুরনো বাড়িতে দুর্গাপুর আদালত চলে। দীর্ঘদিন ধরে উপযুক্ত সংস্কারের অভাবে আদালত ভবনটি বেহাল বলে অভিযোগ আইনজীবীদের। তা ছাড়া, আদালতে সবার স্থান সঙ্কুলানও ঠিক মতো হয় না বলে অভিযোগ আইনজীবী থেকে বিচারপ্রার্থীদের বড় অংশের।
দুর্গাপুর আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি দেবব্রত সাঁই জানান, আদালতের বর্তমান পরিস্থিতিতে বিচার-প্রক্রিয়া গতি পাচ্ছে না। তিনি জানান, দুর্গাপুর আদালতে বর্তমানে তিনটি জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (জেএম), একটি অ্যাডিশনাল চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (এসিজেএম), দু’টি মুনসেফ, একটি অ্যাসিস্ট্যান্ট ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশনস জজ ও চারটি অ্যাডিশনাল ডিস্ট্রিক্ট অ্যান্ড সেশন জজ কোর্ট রয়েছে। অথচ, দুর্গাপুর মহকুমার আটটি থানা এলাকার ফৌজদারি ও দেওয়ানি মামলার বিচার হয় দুর্গাপুর আদালতে। দেবব্রত বলেন, “কোর্টের সংখ্যা কম থাকায় এবং পর্যাপ্ত বিচারক না থাকায় বিচার-প্রক্রিয়া ব্যাহত হচ্ছে। ফলে, হাজার-হাজার বিচারপ্রার্থীকে বিচারের জন্য বছরের পর বছর ধরে অপেক্ষা করতে হচ্ছে।”
তবে, নতুন আদালত ভবন তৈরির কাজ চলছে। সে কাজ শেষ হলে সমস্যা মিটবে বলে আশা। কারণ, নির্মীয়মাণ আদালত ভবনে ১৬টি এজলাস চালু করার মতো পরিসর থাকছে। সম্প্রতি নির্মীয়মাণ আদালত ভবনের কাজ পরিদর্শন করতে দুর্গাপুরে এসেছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি (প্রশাসন) ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়। দেবব্রত জানান, তাঁদের আর্জির কথা লিখিত আকারে বিচারপতি মুখোপাধ্যায়কে দেওয়া হয়েছে। হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে তা পৌঁছে দেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। বার অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, বিচার প্রক্রিয়ায় গতি আনতে হলে অবিলম্বে দুর্গাপুর আদালতের জন্য আরও চার জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং এক জন মুনসেফ বিচারক দরকার। তা-ই জানানো হয়েছে বিচারপতি মুখোপাধ্যায়কে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy