Advertisement
E-Paper

গুঞ্জা গেল দুর্গাপুর, মনখারাপ নার্সদের

দিন দুর্গাপুরের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কোঅর্ডিনেটর ঈশিকা নায়েকের হাতে গুঞ্জাকে তুলে দেন বর্ধমান মেডিক্যালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা। সঙ্গে ছিলেন সহকারী সুপারেরাও (প্রশাসন)।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩১ অগস্ট ২০১৭ ০৮:০০
হাসপাতালে গুঞ্জা। —নিজস্ব চিত্র।

হাসপাতালে গুঞ্জা। —নিজস্ব চিত্র।

সাত মাসের ঠিকানা বদল হল ছোট্ট গুঞ্জার। তার জন্মের পরে থেকেই যাবতীয় পরিচর্যা থেকে মুখে ভাত, সব কিছুই পরম যত্নের সঙ্গে করছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নার্স দিদিরা। বুধবার হাসপাতালের দিদিদের কোল ছেড়ে এক রত্তির মেয়েটি চলে গেল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তত্ত্বাবধানে। আর তাই মনখারাপ হাসপাতালের।

এ দিন দুর্গাপুরের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কোঅর্ডিনেটর ঈশিকা নায়েকের হাতে গুঞ্জাকে তুলে দেন বর্ধমান মেডিক্যালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা। সঙ্গে ছিলেন সহকারী সুপারেরাও (প্রশাসন)। অমিতাভবাবু বলেন, “জেলা শিশুকল্যাণ কমিটিকে চিঠি দিয়ে শিশুকন্যাটির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। ওই চিঠি পেয়ে শিশুকল্যাণ কমিটির বৈঠকে দুর্গাপুরের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আজ তাদের হাতে গুঞ্জাকে তুলে দেওয়া হয়েছে।”

প্রশাসনিক নিয়মকানুনের মাঝে এ দিন অবশ্য গুঞ্জার নার্সদিদিদের চোখের জল বাঁধ মানেনি। নুতন ঠিকানায় যাওয়ার আগে গুঞ্জার হাতে রুপোর বালা পরিয়ে দেন নার্সরা। তাকে শেষ বারের মতো কোলে নেওয়ার জন্যও হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।

গত ১১ ফেব্রুয়ারি ঝাড়খণ্ডের রাঁচির মানসাইয়ের ঠিকানা দিয়ে হাসপাতালে এক প্রসূতি ভর্তি হন। ওই দিনই তিনি কন্যাসন্তানের জন্ম দেন। সদ্যোজাতের শরীর খারাপ থাকায় তাকে সিক নিও নেটাল ইউনিটে (এসএনসিইউ) ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সেই ফাঁকেই হাসপাতাল থেকে চম্পট দেন মা। পুলিশ জানায়, ওই মহিলা যে ঠিকানা দিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, সেই ঠিকানাটিই ভুয়ো। তার পরে থেকেই গুঞ্জা বড় হচ্ছে হাসপাতালে। হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি সাত মাসের মাথায় গুঞ্জার অন্নপ্রাশন করেন শিশুবিভাগের নার্সরা। রান্না থেকে শিশুর জামাকাপড়ের খরচ, খাওয়ার খরচের ব্যয়ভার তাঁরাই বহন করেছেন।

চোখের কোণ মুছতে মুছতে এ দিন হাসপাতালের নার্স পম্পা মাঝি ও মহুয়া ঘোষরা বলেন, ‘‘হাতে করে মেয়েটাকে যত্ন করলাম। কষ্ট তো হচ্ছেই। তবে ও ভাল থাকুক, এটুকুই চাওয়া।”

NGO Child Nurses Hospital
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy