সাত মাসের ঠিকানা বদল হল ছোট্ট গুঞ্জার। তার জন্মের পরে থেকেই যাবতীয় পরিচর্যা থেকে মুখে ভাত, সব কিছুই পরম যত্নের সঙ্গে করছিলেন বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের নার্স দিদিরা। বুধবার হাসপাতালের দিদিদের কোল ছেড়ে এক রত্তির মেয়েটি চলে গেল একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তত্ত্বাবধানে। আর তাই মনখারাপ হাসপাতালের।
এ দিন দুর্গাপুরের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কোঅর্ডিনেটর ঈশিকা নায়েকের হাতে গুঞ্জাকে তুলে দেন বর্ধমান মেডিক্যালের ডেপুটি সুপার অমিতাভ সাহা। সঙ্গে ছিলেন সহকারী সুপারেরাও (প্রশাসন)। অমিতাভবাবু বলেন, “জেলা শিশুকল্যাণ কমিটিকে চিঠি দিয়ে শিশুকন্যাটির দায়িত্ব নেওয়ার জন্য বলা হয়েছিল। ওই চিঠি পেয়ে শিশুকল্যাণ কমিটির বৈঠকে দুর্গাপুরের ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। আজ তাদের হাতে গুঞ্জাকে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
প্রশাসনিক নিয়মকানুনের মাঝে এ দিন অবশ্য গুঞ্জার নার্সদিদিদের চোখের জল বাঁধ মানেনি। নুতন ঠিকানায় যাওয়ার আগে গুঞ্জার হাতে রুপোর বালা পরিয়ে দেন নার্সরা। তাকে শেষ বারের মতো কোলে নেওয়ার জন্যও হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।