ব্যাঙ্কের সামনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
দিন কয়েক আগেই ব্যাঙ্কের বাইরে সাদা কাগজে ‘টাকা নেই’ লেখা দেখেই মারমুখী হয়ে উঠেছিলেন পূর্বস্থলীর শ্রীরামপুরে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে ব্যাঙ্কে তালা ঝোলানো হয়। এ বার সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি মঙ্গলকোটের বনকপাশিতে। প্রয়োজনীয় টাকা না মেলায় মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত এলাকার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের তালা খুলতে দিলেন না বাসিন্দারা।
এ দিন সকালে বনকাপাশি মোড়ে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখার সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন বাসিন্দাদের একাংশ। বিক্ষোভ চলাকালীনই নিজদের দুর্ভোগের কথা জানাতে শুরু করেন গ্রাহকেরা। বনকপাশির বাসিন্দা অনুপ পাল জানান, গত পাঁচ দিন ধরে তিনি টাকা তোলার স্লিপ নিয়ে ব্যাঙ্কের লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। কিন্তু লাভ হচ্ছে না। এর ফলে কিডনির চিকিৎসাও করানো যাচ্ছে না বলে তিনি জানেন। একই হাল শোলা ব্যবসায়ী বাপন সাহার। তাঁর আক্ষেপ, মাস শুরুর পরে এক সপ্তাহ কেটে গেলেও তাঁর জনা পনেরো শ্রমিককে বেতন দিতে পারেননি। গ্রাহকদের ক্ষোভ, ফি দিন মাত্র হাজার দুয়েক টাকার বেশি তাঁরা ব্যাঙ্ক থেকে তুলতে পারছেন না। বিক্ষোভকারীদের বক্তব্য, ‘‘কোনও লেনদেনই যখন হচ্ছে না, তখন ব্যাঙ্ক খুলে লাভ কী!’’
বাসিন্দারা জানান, এই ব্যাঙ্কটির উপরে বনকাপাশি ছাড়াও দুরমুট, কৈচর, যাজ্ঞেশ্বরডিহি, কুলসোনা, চক, বুঁইচি, বেলগ্রাম-সহ প্রায় ১০টি গ্রামের মানুষ নির্ভর করেন। বনকপাশিতে একটি ডাকঘর ও ওই ব্যাঙ্কটি না থাকায় বিপাকে প্রায় হাজার চারেক বাসিন্দা। স্থানীয় বাসিন্দা তরুণ সাহা, আকাশ মাঝি, শেখ মনরুদ্দিনদের অভিযোগ, ‘‘সাধারন গ্রাহকদের কারেন্ট ও সেভিংসে টাকার লেনদেন হচ্ছে না। অথচ কয়েক জন ব্যবসায়ীকে কারেন্ট অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়া হচ্ছে।’’ বাসিন্দাদের অভিযোগ, নোট-বাতিলের সিদ্ধান্তের পরে নোট-বদলও হয়নি ওই শাখায়। শেষমেশ এ দিন দুপুর তিনটের পরে ব্যাঙ্ক খোলা হয়। গ্রাহকদের দু’হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্ক ম্যানেজার আনন্দ মোহনের দাবি, ‘‘টাকার জোগান না থাকাতেই এই অবস্থা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy