ব্যাঙ্কে এসে বিজ্ঞপ্তিতে নজর। নিজস্ব চিত্র।
সকাল সকাল দু’টো বাস বদল করে ব্যাঙ্কে এসেছিলেন এক বৃদ্ধ। কিন্তু ব্যাঙ্কে ঢোকার মুখেই নজরে পড়ল অচল নোট জমা না নেওয়ার বিজ্ঞপ্তিটা। আর তা দেখে, গ্রাহকদের একাংশের আক্ষেপ, যাঁদের সমবায় ব্যাঙ্ক ছাড়া অন্য কোথাও অ্যাকাউন্ট নেই, তাদের কী হবে। এই প্রশ্নটাই গোটা রাজ্যের সঙ্গে মঙ্গলবার ঘুরপাক খেল বর্ধমানের কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কে।
এ দিন অনেক গ্রাহককেই নোট জমা দেওয়ার রসিদ লিখে আনতেও দেখা যায়। কিন্তু তা কোনও কাজে লাগায় হতাশ গ্রাহকদের একাংশ। জামালপুরের মশাগ্রামের বাসিন্দা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের আক্ষেপ, ‘‘বহুদূর থেকে ব্যাঙ্কে এসেছিলাম। লাইনে দাঁড়িয়ে শুনি, অচল নোট নেওয়া হবে না। অন্য ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট নেই। এ বার কী হবে জানি না।’’ একই ভাবে বিজ্ঞপ্তি দেখে খালি হাতেই ফেরত গিয়েছেন রায়নার মাছখাণ্ডার বাসিন্দা শেখ সবুদও।
নোট বদল না হওয়ার বিষয়টি নিয়ে অবশ্য আক্ষেপ করেছেন ব্যাঙ্কের ম্যানেজার অমিত রজক। তাঁর কথায়, ‘‘পুরনো নোট না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে। ব্যাঙ্কের শতবর্ষপূর্তিতে গ্রাহকদের পরিষেবা না দিতে পারায় খারাপ লাগছে।’’
এ দিন কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সকাল থেকেই ব্যাঙ্কের সামনে পুলিশকর্মী ও সিভিক ভলান্টিয়ারদের দেখা যায়। প্রসঙ্গত, সোমবার গুরুপূর্মিমার ছুটির দিনেই জেলায় জেলায় সমস্ত সমবায় ব্যাঙ্কে রিজার্ভ ব্যাঙ্কের তরফে বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে পাঁচশো-হাজারের নোট-বদলে নিষেধ করা হয়।
অন্য দিকে, গত কয়েক দিনের মতো মঙ্গলবারেও বর্ধমানের রাষ্ট্রায়ত্ত-বেসরকারি ব্যাঙ্ক ও এটিএমগুলির সামনে গ্রাহকদের লম্বা লাইন দেখা গিয়েছে। তবে বেশির ভাগ এটিএম থেকেই টাকা মেলেনি বলে জানা গিয়েছে। তবে মেমারি বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া একটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় কয়েক জন গ্রাহক আচমকা দরজা ও এটিএমের সাটার নামিয়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দু’জনকে আটক করেছে মেমারি থানার পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy