বিদ্যুতের তারের ফাঁসের ভিতর দিয়ে ঝুলছে সিলিং ফ্যান। মার্কেটের ভিতরেই হোটেল, চায়ের দোকান। গ্যাসের আগুনে রান্না হচ্ছে সেখানে। কিন্তু অগ্নি নির্বাপণের জন্য ব্যবস্থা তেমন কিছু নেই। বর্ধমানের নানা বাজারে ‘মরণফাঁদ’ তৈরি হয়ে রয়েছে, অভিযোগ ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতাদের।
কলকাতার বাগড়ি মার্কেটের অগ্নিকাণ্ডের ছবি দেখে বর্ধমান শহরের বিসি রোডের বেশ কয়েকটি মার্কেটের ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। তাঁরা মেনে নিচ্ছেন, অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থার কোনও বালাই নেই। ‘সচেতন’ হওয়ার বদলে বাজারের বিভিন্ন রাস্তার উপরে দোকান খুলে বসে যাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। একে অপরিসর রাস্তা, তার উপরে দোকান বসে যাওয়ায় ক্রেতাদের ঢুকতে-বেরোতে সমস্যা হচ্ছে। তাঁদের অভিযোগ, মালিকেরা তো বটেই, বাজারগুলিতে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা খতিয়ে দেখার জন্য পুরসভা বা দমকলেরও পা পড়ে না। তাই বাজারের ভিতরে ছোট পরিসরেও ত্রিপল খাটিয়ে জুতো-ব্যাগের পসরা সাজানো হয়েছে। তার মাথার উপরে রয়েছে মাকড়সা জালের মতো তার। মাথার উপর ঘুরছে ফ্যানও।
শহরের কার্জন গেটের পাশ থেকে বাঁ দিক দিয়ে হেঁটে অনিতা সিনেমার গলি পর্যন্ত পরপর তিনটি বাজার রয়েছে। তার মধ্যে কল্যাণী মার্কেটে দক্ষিণবঙ্গের অন্যতম বড় ওষুধের পাইকারি দোকান রয়েছে। ব্যবসায়ীরা জানান, এই মার্কেটে নতুন ও পুরনো ভবন মিলিয়ে শ’দেড়েক দোকান রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ৪০ কোটি টাকার ওষুধ বিক্রি হয়। কিন্তু বাজারের অবস্থা তথৈবচ। ব্যবসায়ী সমিতির অভিযোগ, বাজারের ভিতরে হোটেল চলছে। গ্যাস জ্বেলে রান্না হচ্ছে। তাঁরা জানান, ১৯৯০ সালে পুরসভার কাছ থেকে ৯৯ বছরের ‘লিজ’ নিয়ে বাজারটি তৈরি হয়। মার্কেটের ভিতর ভূগর্ভস্থ জলাধার থাকলেও তাতে কেউ জল দেখেননি। ওষুধ ব্যবসায়ীদের সংগঠন বিসিডিএ-র বর্ধমান অঞ্চল সভাপতি অসিত রায় বলেন, ‘‘দমকল ঢোকার মতো পরিস্থিতি নেই।’’