Advertisement
E-Paper

রেলিং বসিয়ে দখল ফুটপাথ উদ্ধারের চেষ্টা

রাস্তার দু’পাশে সার দিয়ে ছোট-বড় দোকান। তার সঙ্গে ফল, সব্জি হরেকরকমের পসরা। ফুটপাথ প্রায় ‘অদৃশ্য’। আর রাস্তার দু’দিক ঢাকা পড়ে গিয়েছে মোটরবাইক, সাইকেল আর রিকশায়। সবমিলিয়ে দোকান, মোটরবাইক ঠেলে পথ চলাই দায় শহরবাসীর।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ মে ২০১৭ ০১:২৬
দখল: বিসি রোডে সার সার দাঁড়িয়ে মোটরবাইক। নিজস্ব চিত্র

দখল: বিসি রোডে সার সার দাঁড়িয়ে মোটরবাইক। নিজস্ব চিত্র

রাস্তার দু’পাশে সার দিয়ে ছোট-বড় দোকান। তার সঙ্গে ফল, সব্জি হরেকরকমের পসরা। ফুটপাথ প্রায় ‘অদৃশ্য’। আর রাস্তার দু’দিক ঢাকা পড়ে গিয়েছে মোটরবাইক, সাইকেল আর রিকশায়। সবমিলিয়ে দোকান, মোটরবাইক ঠেলে পথ চলাই দায় শহরবাসীর। এ বার শহরের জরুরি ওই বিসি রোড নিয়ন্ত্রণে আনতে ফুটপাথের দু’দিকে রেলিং বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পুরসভা।

একই সঙ্গে রাস্তার উপর দাঁড় করিয়ে রাখা মোটরবাইক বাজেয়াপ্ত করার জন্যেও পুলিশকে বলেছেন পুরপ্রধান স্বরূপ দত্ত। তাঁর কথায়, “জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গে কথা হয়েছে। বৃহস্পতিবার থেকেই রাস্তার উপর মোটরবাইক থাকলে ধরপাকড় শুরু হবে।”

বিসি রোড যানজট মুক্ত করতে বছর খানেক আগে জেলা প্রশাসন উদ্যোগ করে। কিন্তু ব্যবসায়ীদের আপত্তিতে তা টেকেনি। তখন প্রশাসন একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে ওই রাস্তায়। তাতেও পরিস্থিতি বিশেষ বদলায়নি। পথচারীদের দাবি, থানা, হাসপাতাল থেকে খোসবাগানের যে কোনও নার্সিংহোম, ডাক্তারের কাছে থেকে ওই রাস্তা ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু যানজটে প্রাণ ওষ্ঠাগত। পুরকর্তাদেরও দাবি, বিসি রোডের রানিগঞ্জ মোড়ের কাছে বিনামূল্যে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কিন্তু সেখানে কেউ গাড়ি রাখেন না। পাশপাশি জিটি রোডের উপর ম্যান্ডেলা পার্কে ভূতল পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফলে বিসি রোডে মোটরবাইক রাখা বন্ধ করতে না পারলে ভূতল পার্কিংও কাজ দেবে না।

পুরসভা সূত্রে জানা যায়, কার্জন গেট থেকে রানিগঞ্জ মোড়ের আগে পর্যন্ত বাঁধানো ফুটপাথ রয়েছে। ওই ফুটপাথ এবং রাস্তার ধারে দু’দিকে ১১০টি অস্থায়ী দোকান রয়েছে। এ ছাড়াও জেলার বিভিন্ন প্রান্ত ও ভিন জেলা থেকে সব্জি, গৃহস্থালীর টুকিটাকি জিনিস নিয়ে সকালেই হাজির হয়ে যান হকাররা। তাঁরা দিনভর বিকিকিনি করে রাতে বাড়ি ফিরে যান। পুরসভা ঠিক করেছে, রাস্তায় কোনও মতেই হকার বসতে দেওয়া হবে না। ফুটপাথের উপর মোট ৯০০ মিটার রেলিং বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চার ফুট উঁচু ওই রেলিং বসাতে পুরসভার খরচ হবে ২৩ লক্ষ টাকা। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, উঁচু রেলিং থাকায় তা টপকে রাস্তায় বেচাকেনা করতে পারবেন না হকারেরা।

কিন্তু তাহলে তো ফুটপাথ জুড়ে দোকান চলার সম্ভাবনা থাকছে? পুরপ্রধানের দাবি, ‘‘তেমন হলে তো পথচারীরা প্রতিবাদ করবেন। তখন প্রশাসন হস্তক্ষেপ করবে।’’

Footpath Road
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy