পাণ্ডবেশ্বরে তোলা নিজস্ব চিত্র।
এলাকা ‘গ্রিন ও ক্লিন’ করে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন পাণ্ডবেশ্বরের বিধায়ক জিতেন্দ্র তিওয়ারি। মাস কয়েক আগে পরাশকোলে একটি অনুষ্ঠানে এসে তা শুরুর কথাও ঘোষণা করেন। কিন্তু এলাকার বেহাল সাফাই ব্যবস্থা প্রশ্ন তুলছে সেই উদ্যোগে।
পাণ্ডবেশ্বরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, বিভিন্ন পঞ্চায়েতকে নির্মল করে তোলার কথা বলা হলেও নিয়মিত সাফাই হচ্ছে না এলাকায়। বেহাল নিকাশিও। তার জেরে ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রোগ। পাণ্ডবেশ্বর রেলপাড় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা জানান, প্রায় ১০ বছর ধরে সেখানে আবর্জনা জমে থাকে। মাঝেমাঝে পঞ্চায়েত পরিষ্কারের ব্যবস্থা করলেও ঠিকাদারেরা পুরোপুরি সাফ না করেই চলে যায় বলে অভিযোগ। দুর্গন্ধ ও মশা-মাছির উপদ্রবে বিপাকে পড়ে অঙ্গনওয়াড়ির শিশুরা। একই হাল পাণ্ডবেশ্বর স্টেশনের রাস্তা লাগোয়া মাঠের। পাণ্ডবেশ্বর গ্রামের বাসিন্দাদের অভিযোগ, উপরপাড়ার নর্দমা সাফ হয় না, আবর্জনা রাস্তায় পড়ে থাকে। বাউরিপাড়া, শুড়িপাড়া হয়ে বাসস্ট্যান্ড যাওয়ার রাস্তা জঞ্জালে ভরে থাকে।
একই হাল উখড়া পঞ্চায়েতে। উখড়া পোস্ট অফিস থেকে রুইদাস পাড়ার রাস্তায় ভাঙা নর্দমা মেরামত হয়নি। একটি বেসরকারি স্কুলের পাশে, শুড়িপাড়ায় সরকারি কুয়ো লাগোয়া এলাকা, মুসলিম পাড়া যাওয়ার রাস্তায় শিবগোড়ে পাড়ায় আবর্জনা জমে থাকে। উখড়া সাকার্স মাঠ আবর্জনা ফেলার জায়াগা হয়ে উঠেছে। সফিকনগর, গুলজারবাঁধ, কাঁকরডাঙায় সম্প্রতি ডেঙ্গির প্রার্দুভাব ঘটেছিল বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের।
পাণ্ডবেশ্বরের কীর্তন কোটাল, উখড়ার শ্রীকৃষ্ণ রায়েরা এলাকা ‘গ্রিন ও ক্লিন’ করার প্রতিশ্রুতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। উখড়া বণিক সংগঠনের সহ-সভাপতি সীতারাম বার্নোয়াল বলেন, “প্রশাসন এগিয়ে এলে আমরা সহযোগিতা করব।” যদিও বৈদ্যনাথপুর পঞ্চায়েতের প্রধান লক্ষ্মী ঘোষের দাবি, সাফাইয়ের জন্য আসানসোল থেকে দল আসে। তবে এলাকায় ছ’টি ডাস্টবিন থাকলেও তা বািসন্দারা ব্যবহার করেন না। উখড়ার প্রধান দয়াময় সিংহ জানান, কিছু দিনের মধ্যে বর্জ্য প্রক্রিয়াকরণ কেন্দ্র চালু হবে। প্রতি বাড়িতে আবর্জনা ফেলার বালতি দেওয়া হবে। বিধায়ক জিতেন্দ্রবাবুর মতে, নাগরিক সচেতনতা গড়া প্রয়োজন। সে জন্য প্রচার চলছে বলে জানান তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy