রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে কৃষি সমবায়গুলিকে ঢেলে সাজানোর জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা জানালেন সমবায় মন্ত্রী জ্যোতির্ময় কর। রবিবার বর্ধমানের টাউন হলে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের কর্মচারি সমিতির সম্মেলনে এসে মন্ত্রী ওই পরিকল্পনাগুলির কথা জানান।
সমবায়গুলিকে বাণিজ্যিক ভাবে লাভজনক করে তুলতে বিপনন পরিকাঠামো গড়ে তোলায় জোর দেন মন্ত্রী। জেলায় জেলায় স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি করা বিভিন্ন জিনিস বিক্রি করতে সমবায়গুলির বিপণন কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে বলে মন্ত্রীর আশ্বাস। বিভিন্ন স্কুলেও বিপনন কেন্দ্র চালু করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। পড়ুয়াদের পোশাক, চক, খাতা-সহ পড়াশোনার জন্য বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিস সমবায় কেন্দ্রগুলি থেকে কিনলে তা বাজার দরের থেকে প্রায় ৩০ শতাংশ কম দামে মিলবে বলেও জানানো হয়েছে।
একগুচ্ছ নতুন পরিকল্পনার কথা ঘোষণার পাশপাশি রাজ্যের সামগ্রিক আর্থিক পরিকাঠামো উন্নয়নের ক্ষেত্রে সমবায়গুলির ভূমিকার কথা তুলে ধরেন মন্ত্রী। তাঁর দাবি, সহায়ক মূল্যে ধান কেনার ক্ষেত্রেও সমবায়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। মন্ত্রী বলেন, ‘‘রাজ্যের প্রায় এক লক্ষ ৭১ হাজার স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে ২ শতাংশ হারে ঋণ দেয় সমবায় ব্যাঙ্ক।’’ কর্মসংস্থান বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও সমবায়গুলিকে এগিয়ে আসতে আহ্বান জানানো হয়। মন্ত্রীর দাবি, চলতি বছরে ৪ কোটি টাকা লাভ করেছে রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্ক।
তবে গ্রামীণ প্রাথমিক কৃষি সমবায় সমিতিগুলির একাংশ ঠিক ভাবে চলছে না বলে মন্ত্রীর আক্ষেপ। তিনি জানান, বর্ধমান জেলার মোট ৫৮৬টি প্রাথমিক সমবায় সমিতির মধ্যে ৬০টি ইতিমধ্যেই বন্ধ হয়ে গিয়েছে। মোট অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ প্রায় ১১৭ কোটি টাকা। তবে কেন্দ্রীয় সমবায় ব্যাঙ্কের সরকারি প্রতিনিধি সুভাষ মণ্ডল বলেন, ‘‘গত দু’বছরে আমরা ৩৭ কোটি টাকা অনাদায়ী ঋণ আদায় করতে পেরছি।’’