Advertisement
১৭ মে ২০২৪

অচল টাকায় ভোগান্তি পার্লারে

অচল নোটের ঠেলায় বুধবার রূপটানের ব্যবসাও ঝিমিয়ে থাকল দুর্গাপুরে। অধিকাংশ বিউটি পার্লার খোলা থাকলেও দিনভর গ্রাহকদের আনাগোনা তেমন চোখে পড়েনি।

দেখা নেই গ্রাহকদের। সিটি সেন্টারে নিজস্ব চিত্র।

দেখা নেই গ্রাহকদের। সিটি সেন্টারে নিজস্ব চিত্র।

অর্পিতা মজুমদার
দুর্গাপুর শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৬ ০০:০০
Share: Save:

অচল নোটের ঠেলায় বুধবার রূপটানের ব্যবসাও ঝিমিয়ে থাকল দুর্গাপুরে। অধিকাংশ বিউটি পার্লার খোলা থাকলেও দিনভর গ্রাহকদের আনাগোনা তেমন চোখে পড়েনি। অনেকে পাঁচশো-হাজারের নোট নিলেও পার্লারের ‘ফাঁকা’ ছবিটার তেমন বদল হয়নি বলেই দাবি। অনেক গ্রাহক আবার প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা শুনে মঙ্গলবার রাতেই সাত তাড়াতাড়ি পার্লারের কাজ সেরে এসেছেন।

জাতীয় সড়ক লাগোয়া শপিং মলের নিচের তলায় রয়েছে নামী বিউটি পার্লার। বুধবার কয়েক জন ফেসিয়াল বা হেয়ার স্ট্রেটনিং করাতে এলেও কর্মীরা জানিয়ে দেন, ‘পাঁচশো, হাজারের নোট নেওয়া হবে না।’ এ কথা শুনেই ফিরে যেতে দেরি করেননি মহিলারা। ওই পার্লারের তরফে ঋতি দত্ত বলেন, ‘‘সরকারি সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে তো কাজ করতে পারি না। দিন কয়েক সমস্যা হবেই!’’

ওই শপিং মলেরই দোতলায় রয়েছে আরও একটি সেলুন। সেখানে এ দিন পাঁচশো-হাজারের নোট নেওয়া হলেও তাতে বিশেষ সুরাহা হয়নি বলে দাবি পার্লার কর্মীদের। তাঁদের দাবি, পার্লারে গড়ে ১০ জন চুল ও ত্বকের পরিচর্চা করতে আসেন। কিন্তু বুধবার মাত্র দু’জন এসেছেন বলে জানা গেল। এক জনের বিল হয়েছিল দেড় হাজার টাকা। তিনি হাজার ও পাঁচশোর নোট দিয়েছিলেন।

অন্য একটি পার্লারে খোঁজ নিয়ে জানা গেল, তাঁরাও পাঁচশো-হাজারের নোট নিচ্ছেন। কিন্তু তা করতে গিয়ে বেশ সমস্যা পড়তে হচ্ছে পার্লারের কর্মীদের। কী রকম? পার্লারের এক কর্মী বলেন, ‘‘পাঁচশো, হাজারের নোট নিচ্ছি কিন্তু এত সংখ্যায় একশো টাকার নোট তো নেই। তাই বাকিটা কুপনে ফেরত দিতে হচ্ছে।’’ শহরের বড় পার্লারগুলির সূত্রে জানা গেল, দিনে গড়ে ১০-১৫ হাজার টাকার ব্যবসা হলেও বুধবার তার ধারেকাছেও পৌঁছয়নি।

সমস্যা হতে পারে ভেবে, প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা শুনেই মঙ্গলবার রাতেই অনেকে পার্লারের কাজ সেরে ফেলেছেন। দুর্গাপুরের বিভিন্ন পাড়ার পার্লারগুলিতেও অনেকে পাঁচশো-হাজারের নোট নিচ্ছেন, অনেকে আবার নিচ্ছেন না। যাঁরা নিচ্ছেন তাঁরা নোটের নম্বর, গ্রাহকদের ফোন নম্বর লিখে নিয়ে সই করিয়ে নিচ্ছেন। এমনটা কেন? নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি পার্লারের কর্তা বলেন, ‘‘হঠাৎ কাজ বন্ধ করে দিলে ব্যবসায় ক্ষতি হবে। তা ছাড়া সামনেই বিয়ের মরসুম। প্রতিদিন অর্ডার নিতে হচ্ছে। ফোন-নোটের নম্বর লিখে নিচ্ছি কারণ পরে সমস্যা হলে যোগাযোগ করা যাবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Parlour Money
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE