প্রতীকী ছবি।
তিন দিনেও মেরামত হয়নি জলের পাইপ। ফলে, টানা বাহাত্তর ঘণ্টা জল সরবরাহ বন্ধ রয়েছে কুলটি, বরাকর, নিয়ামতপুর, সীতারামপুর-সহ আসানসোলের বেশ কিছু এলাকায়। বিপাকে পড়েছেন কয়েক হাজার বাসিন্দা। তাঁদের অভিযোগ, সমস্যা মেটাতে উদ্যোগী হচ্ছে না জনস্বাস্থ্য করাগরি দফতর বা পুরসভা। যদিও সমস্যা দ্রুত মেটানোর আশ্বাস দিয়েছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকেরা।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে জল সরবরাহে বিঘ্ন শুরু হয়। দুপুর থেকে একেবারে নির্জলা হয়ে যায় বিস্তীর্ণ এলাকা। আচমকা জল বন্ধে বিপাকে পড়েন বাসিন্দারা। বিকেলের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে মনে করেছিলেন তাঁরা। কিন্তু তিন দিন কেটে গেলেও জল সরবরাহ শুরু না হওয়ায় ক্ষোভ বাড়তে থাকে।
কেন জল সরবরাহে বিঘ্ন ঘটেছে, সে প্রশ্নে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের কার্যনির্বাহী আধিকারিক (আরসিএফএ) অশোক ধারা জানান, কল্যাণেশ্বরী জলপ্রকল্প এলাকায় পাইপ ফেটে গিয়েছে। তা মেরামত না হওয়া পর্যন্ত সরবরাহ বন্ধ থাকবে। অবস্থা কবে স্বাভাবিক হবে, তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি। অশোকবাবু বলেন, ‘‘যে পাইপটি ফেটে গিয়েছে তা সচরাচর পাওয়া যায় না। তবে জোগাড় করা হয়েছে। কিন্তু সমস্যা দেখা দিয়েছে উপযুক্ত কারিগরের। দ্রুত সমস্যা মেটানোর চেষ্টা চলছে।’’ জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আর এক কার্যনির্বাহী আধিকারিক (মেকানিক্যাল) আশিস নস্কর বলেন, ‘‘আমরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেছি। তবে কবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে তা বলা যাবে না।’’
তিন দিনেও পাইপ মেরামত না করতে পারায় জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরকেই দুষছেন পুর-কর্তারা। আসানসোল পুরসভার জল দফতরের মেয়র পারিষদ পূর্ণশশী রায়ের অভিযোগ, ‘‘বৃহস্পতিবার বিকেলেই জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের আধিকারিকদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। কিন্তু হেলদোল না দেখানোয় এই ভয়াবহ অবস্থা তৈরি হয়েছে।’’ ক্ষুব্ধ এলাকার বাসিন্দারাও। রবিবার সকালের মধ্যে জল সরবরাহ স্বাভাবিক না হলে রাস্তা অবরোধের হুমকিও দিয়েছেন বাসিন্দাদের একাংশ। পুরসভার পক্ষ থেকে এলাকায় ট্যাঙ্কে করে জল পৌঁছনোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানান পূর্ণশশীবাবু। তবে এত বড় অঞ্চল জুড়ে জল পৌঁছনো সম্ভব হবে কি না, সে নিয়েও চিন্তায় পুরসভার কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy