Advertisement
E-Paper

গতিতে রাশ টানতে নানা ওষুধের ভাবনা

মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে পর-পর দুর্ঘটনা। তা কমাতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে নানা দাওয়াইয়ের পন্থা নিচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন। ওয়াচ টাওয়ার থেকে ‘স্পিড গান’, নানা ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়েছে বলে জানান রাজ্য পুলিশের আইজি (ট্রাফিক) মনোজ বর্মা। চলতি বছরেই এ সব চালু করা যাবে বলে তাঁর আশা।

সৌমেন দত্ত

শেষ আপডেট: ২৯ মার্চ ২০১৭ ০০:৩৪
নাকা: দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশকর্তাদের উপস্থিতিতে নজরদারি। নিজস্ব চিত্র

নাকা: দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে পুলিশকর্তাদের উপস্থিতিতে নজরদারি। নিজস্ব চিত্র

মাথাব্যথা হয়ে দাঁড়িয়েছে পর-পর দুর্ঘটনা। তা কমাতে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে নানা দাওয়াইয়ের পন্থা নিচ্ছে পুলিশ-প্রশাসন। ওয়াচ টাওয়ার থেকে ‘স্পিড গান’, নানা ব্যবস্থার কথা ভাবা হয়েছে বলে জানান রাজ্য পুলিশের আইজি (ট্রাফিক) মনোজ বর্মা। চলতি বছরেই এ সব চালু করা যাবে বলে তাঁর আশা।

২ নম্বর জাতীয় সড়কে ডানকুনি থেকে পানাগড়, এই ১৩৪ কিলোমিটার অংশে বারবার দুর্ঘটনা ঘটছে। কয়েকমাস আগে দুর্ঘটনার কবলে পড়েন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি গুড়াপের কাছে গাড়ি উল্টে মৃত্যু হয় সঙ্গীতশিল্পী কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচার্যের। গত সপ্তাহে বর্ধমানের রথতলার কাছে গাড়ির উপরে ট্যাঙ্কার উল্টে এক পরিবারের সাত জন প্রাণ হারান। রাস্তাটির প্রকল্প ম্যানেজার (রক্ষণাবেক্ষণ) ঋতম গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “গত কয়েক বছরে দুর্ঘটনা বেড়েছে। আমরা এ নিয়ে প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকও করেছি।”

গত বছর পুজোর পরে পুলিশকর্তারা ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ঘুরে ৪৩টি জায়গা ‘ব্ল্যাক স্পট’ হিসেবে চিহ্নিত করেন। তার মধ্যে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে বর্ধমানের নবাবহাট মোড়, গলসি, পারাজ, গলিগ্রাম, পানাগড়ে দার্জিলিং মোড়, সিদ্ধার মোড় হুগলির ডানকুনি-সহ আটটি জায়গাকে ‘অতি দুর্ঘটনাপ্রবণ’ বলা হয়েছে। এই সব এলাকায় ২৫ ফুট উঁচু ওয়াচ টাওয়ার বা নজরমিনার তৈরি করবে পরিবহণ দফতর। সেখানে আধুনিক সিসি ক্যামেরা, এক জন করে সশস্ত্র পুলিশ ও আট জন সিভিক ভলান্টিয়ার থাকবেন।

পুলিশ জানায়, সিসিটিভি ফুটেজ দেখার পাশাপাশি এক টাওয়ার থেকে ওয়াকিটকিতে খবর পেলে কোনও গাড়িকে আটকাতে পারবেন অন্য টাওয়ারের পুলিশকর্মীরা। আইজি (ট্রাফিক) বলেন, “প্রতিটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরির খরচ ৮ লক্ষ টাকা। দরপত্র ডেকে কাজের বরাত দেওয়া হয়ে গিয়েছে। ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চলবে।”

তিনি জানান, ওয়াচ টাওয়ারের পাশাপাশি জাতীয় সড়কে গাড়ির গতিবেগ মাপতে ১৫টি ‘স্পিড গান’ বসানো হবে। শীঘ্রই রাজ্য এই যন্ত্র কেনার অনুমোদন দেবে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ জানান, দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়েতে গাড়ি ঘণ্টায় ৮০-১০০ কিলোমিটার ও ট্যাঙ্কার-ট্রেলার ৬০ কিলোমিটার বেগে চলার নিয়ম। কিন্তু বাস্তবে ছোট গাড়ি ১৩০-১৪০ কিলোমিটার ও ট্রাক-ট্যাঙ্কার ৮০-১০০ কিলোমিটার গতিতে ছোটে। মনোজবাবু বলেন, “দু’টি ওয়াচ টাওয়ারের মাঝে যাতে গাড়ি গতি বাড়াতে না পারে সে জন্য আধুনিক সফটওয়্যার নিয়ে বিশেষ অভিযান চলবে।”

গতিতে লাগাম পরিয়েই দুর্ঘটনা রুখতে চাইছে প্রশাসন।

Durgapur Expressway Durgapur control on vehicles speed
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy