Advertisement
০৫ মে ২০২৪

নেতা কাজ করেন না, নালিশ বিধায়ককে

বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমান শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে রবিবাবুর সঙ্গে গিয়েছিলেন পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর খোকন দাস, ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পম্পা পাল ও তাঁর স্বামী অনন্ত পাল।

 অভিযোগ শুনছেন দুই তৃণমূল বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র

অভিযোগ শুনছেন দুই তৃণমূল বিধায়ক। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান ও আউশগ্রাম শেষ আপডেট: ২৩ অগস্ট ২০১৯ ০০:০১
Share: Save:

পরিষেবা নিয়ে পুরসভার সাহায্য চেয়ে মেলেনি। নেতারা আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি। বাধ্য হয়ে নিজেরাই খরচ করে সংস্কার করতে হয়েছে ঢালু কাঁচা রাস্তা। বৃহস্পতিবার ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে বাড়ি বাড়ি প্রচারে যাওয়া বিধায়কে পেয়ে এ ভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন বর্ধমান রাজ কলেজের অধ্যক্ষ। সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার সকালে বর্ধমান শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ডে রবিবাবুর সঙ্গে গিয়েছিলেন পুরসভার বিদায়ী কাউন্সিলর খোকন দাস, ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পম্পা পাল ও তাঁর স্বামী অনন্ত পাল। প্রথমেই তাঁরা যান বড়নীলপুর বাজার এলাকায়। পরে বালিডাঙা হয়ে যান কয়েক জনের বাড়ি। সেখানেই তাঁদের মুখোমুখি হন রাজ কলেজের অধ্যক্ষ নিরঞ্জন মণ্ডল। তিনি বলে ওঠেন, ‘‘অনন্ত পাল আমার এলাকায় কাজ করেননি। নতুন নতুন বাড়ি হচ্ছে। কিন্তু এলাকার রাস্তা নেই। নিচু এলাকায় মাটি ফেলার জন্য বলেছিলাম। কিছুই করা হয়নি।’’ অনন্তবাবু দাবি করেন, ‘‘কয়েকটি পর্যায়ে করব বলেছিলাম। এলাকার মানুষেরা যখনই ডাকে তখনই চলে আসি।’’ কিন্তু বিধায়ক তাঁকে চুপ করিয়ে সমস্ত অভাব-অভিযোগ শোনেন। পরে আরও কয়েকটা বাড়ি ঘুরে নীলপুরের চিকিৎসক কিরণ দাসের চেম্বারে যান। ওই চিকিৎসক বলেন, ‘‘এলাকায় পানীয় জলের সঙ্কট রয়েছে। রাস্তাও খুব খারাপ রয়েছে। আলো প্রয়োজন।’’ শেষে বিধায়ক বলেন, ‘‘নানা অভাব অভিযোগ শুনলাম। ধীরে ধীরে বিষয়গুলি মেটানোর চেষ্টা করব।’’

বিধায়কের কাছে পানীয় জল, ঢালাই রাস্তা, সেচের জলের জন্য আর্জি জানান আউশগ্রামের ভাল্কি পঞ্চায়েত এলাকার বেশ কিছু গ্রামের বাসিন্দারাও। এ দিন অমরারগড়, সাহেবডাঙা, মোলডাঙা, বাবুইসোল, রানিগঞ্জ, প্রতাপপুরের মতো এলাকায় যান আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্দার। বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, পঞ্চায়েত থেকে বেশ কয়েকটি পানীয় জলের প্রকল্প করা হলেও সেগুলি বেহাল অবস্থায় পড়ে আছে। সেচের জলের অভাবের জন্য এখনও প্রায় হাজার বিঘা জমিতে চাষাবাদ করা যায়নি বলেও দাবি করেন এলাকাবাসীদের একাংশের। সাবমার্সিবল পাম্প বসানোর ব্যাপারেও বিধায়কের কাছে আবেদন করেন তাঁরা। বিধায়ক দু’টি ব্যাপারেই উদ্যোগী হওয়ার আশ্বাস দেন। এ দিন ভাল্কি পঞ্চায়েতের প্রাক্তন সিপিএম প্রধান, প্রতাপপুরের বাসিন্দা সুকুমার মেটের বাড়িতেও যান বিধায়ক। সমস্যার কথা জানতে চাওয়া হলে তিনি জঙ্গলমহলের কয়েকটি গ্রামে ঢালাই রাস্তা করার আর্জি জানান। বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন আউশগ্রাম ২ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সৈয়দ হায়দার আলি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

TMC Didike Bolo Burdwan Raj College
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE