প্রায় বছর ছয়েক আগে তৈরি হয়েছিল জলপ্রকল্প। কিন্তু তা থেকে শহরের সর্বত্র জলের চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না বলে অভিযোগ জামুড়িয়ার বাসিন্দাদের। দ্রুত আর একটি জলপ্রকল্প গড়ার দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা।
ছ’বছর আগে দরবারডাঙায় অজয় ঘাটে একটি জলপ্রকল্প চালু হয়। তা থেকে বর্তমানে পুরসভার ১, ২ ও ৪ নম্বর ওয়ার্ডে জল সরবরাহ করা হয়। কিন্তু ৩ এবং ৫ থেকে ন’নম্বর ওয়ার্ডে জল মেলে নামমাত্র। ১০ থেকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ড রয়েছে একেবারে নির্জলা অবস্থায়।
এই পরিস্থিতিতে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বালানপুর গ্রামে জলের তোড় এতটাই কম যে, পাইপ লাইন ফাটিয়ে জল নিতে হয় বলে জানান বাসিন্দারা। পাইপ লাইন ফাটা থাকার ফলে অনেক সময়েই পানীয় জলের সঙ্গে মিশছে নোংরা। অনেক সময়ে আবার সাপও ঢুকে পড়ে পাইপ লাইনে। এর জেরে প্রায়শই পেটের রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে বলে বাসিন্দাদের দাবি।
ইকড়ার বাউরিপাড়ায় দু’টি কলের মধ্যে একটিতে জল পড়ে। তেলিপাড়া, রাজারামডাঙায় আবার কল থাকলেও জল পড়ে না। সার্থকপুরের বাসিন্দারা জানান, অবস্থা এমনই যে, পরিত্যক্ত খনিমুখে জমে খাকা জলই তাঁরা দৈনন্দিন ব্যবহারের জন্য নিয়ে যান। একই হাল ১০ থেকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডগুলিতেও। ইমলিধাওড়ার বাসিন্দা নোয়ান আখতার, শ্রীপুরের শেখ সাজ্জাদ, ভাটাপাড়ার রামকুমার নুনিয়াদেরও দাবি, ‘‘এলাকায় কোনও জলের কল নেই। তাই পরিত্যক্ত খনির জল অথবা লাগোয়া এলাকার জলাশয় থেকে জল আনতে হয়।’’
জামুড়িয়ায় দ্বিতীয় জলপ্রকল্প চেয়ে ২০১৬ সালে সিপিএম বিধায়ক জাহানারা খান বিধানসভায় সরব হন। সিপিএম নেতা মনোজ দত্তের অভিযোগ, ‘‘২০১১ সালে রাজ্যে সরকার পরিবর্তন হওয়ার পরে বাম পরিচালিত সাবেক পুরসভাকে টাকা দেওয়া হয়নি। ফলে কোনও কাজই হয়নি।’’ যদিও আসানসোল পুরসভার মেয়রপারিষদ (জল) পূর্ণশশী রায়ের দাবি, ‘‘দু’শো কোটি টাকায় জামুড়িয়াতে জলপ্রকল্প হবে। ৫০ কোটি টাকায় পুরনো জল প্রকল্পটির সম্প্রসারণ এবং ১৫০ কোটিতে ডামরা ঘাটে নতুন জলপ্রকল্পের কাজ হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy