শুক্রবার চলছে পুজো। নিজস্ব চিত্র।
একমাত্র পুত্রের অকালমৃত্যুর পরে হেঁটে তীর্থযাত্রায় বেরোন পরিবারের কর্তা। হরিদ্বারের পথে বিহারের জামতাড়ায় এক জঙ্গলে এক সন্ন্যাসীর দেখা পান তিনি। সন্ন্যাসী তাঁকে বাড়ি ফিরে সংসারে মন দেওয়ার পরামর্শ দেন। সেই মতো তিনি বাড়ি ফেরেন। কয়েক বছর পরে ফের সেই সন্ন্যাসীর সঙ্গে দেখা। এ বার তিনি রটন্তী কালীর পুজো করার নির্দেশ দেন দুর্গাপুরের মেজেডিহি গ্রামের বাসিন্দা জগদীশ্বর বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সে প্রায় ১২৬ বছর আগের কথা। সেই থেকেই রটন্তী কালীর পুজো চলে আসছে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবারে।
জগদীশ্বরবাবুর পিতামহ তারাচরণবাবু থাকতেন পানাগড়ের কাছে ভরতপুরে। মেজেডিহির তৎকালীন জমিদার অক্ষয়রাম ঘটক তাঁকে নিজের গ্রামে বাড়ি ও জমি দেন। বাংলার ১২৯৭ সালের ১৫ মাঘ পরিবারে প্রথম রটন্তী কালীপুজো হয়। প্রবীণ সদস্যেরা জানান, ডিএসপি তৈরির সময় জমি অধিগ্রহণে মেজেডিহি গ্রামের পুরোটাই চলে যায় কারখানা এলাকায়। গ্রামের বাসিন্দারা উঠে আসেন পাশে গোপালমাঠ গ্রামে। সেখানকার জগুরবাঁধে বসতি গড়ে বন্দ্যোপাধ্যায় পরিবার। তখন থেকে পুজো হয় জগুরবাঁধেই।
ডাকের সাজের সাবেক প্রতিমা। পুজো উপলক্ষে দেশ-বিদেশে থাকা সদস্যরা বাড়ি আসেন। প্রবীণ সদস্য শ্যামাপ্রসাদবাবু, রামপ্রসাদবাবুরা জানান, সময়ের সঙ্গে বলি প্রথা বন্ধ হয়েছে। এখন শুধু আখ ও কুমড়ো বলি হয়। পরিবারের নবীন সদস্য অশোকতরুবাবু বা অভিরূপবাবুরা বলেন, ‘‘আমদের প্রার্থনা, সব জায়গাতেই পশুবলি বন্ধ হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy