Advertisement
৩০ মার্চ ২০২৩
rail bridge

রেলসেতুর বিকল্প কবে

রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, সেতু ভাঙার কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার ছ’মাসের মধ্যে ফুট ওভারব্রিজ তৈরির কাজ শুরু করার ভাবনা রয়েছে।

পুরনো রেলসেতু ভাঙার কাজ চলছে বর্ধমান স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র

পুরনো রেলসেতু ভাঙার কাজ চলছে বর্ধমান স্টেশনে। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
বর্ধমান শেষ আপডেট: ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৮:৪৮
Share: Save:

পুরনো রেলসেতু ভাঙার কাজ প্রায় শেষের দিকে। জেলা প্রশাসনের দাবি মেনে ওই জায়গাতেই ফুট ওভারব্রিজ তৈরির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পূর্ব রেল। কিন্তু সেই কাজ কবে থেকে শুরু হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বর্ধমান শহরের বাসিন্দাদের একাংশ। রেলের দাবি, প্রাথমিক নকশা তৈরির কাজ চলছে। সেই কাজ শেষ হলেই ফুট ওভারব্রিজ তৈরির কাজে হাত দেওয়া হবে। আপাতত ঠিক হয়েছে, তিন মিটার চওড়া ও ১১০ মিটার লম্বা হাঁটার সেতু তৈরি হবে। সেতুটিতে ওঠার জন্য শুধুমাত্র সিঁড়ি থাকবে। কোনও র্যা ম্পের ব্যবস্থা রাখা হচ্ছে না। সেতুটি তৈরি করতে সাত-আট কোটি টাকা খরচ হবে বলে রেল সূত্রে জানা যাচ্ছে।

Advertisement

রেলের কর্তারা জানিয়েছেন, সেতু ভাঙার কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ার ছ’মাসের মধ্যে ফুট ওভারব্রিজ তৈরির কাজ শুরু করার ভাবনা রয়েছে। ডিআরএম (হাওড়া) মণীশ জৈন জানান, ফুট ওভারব্রিজ তৈরির বিষয়ে তাঁরা সম্মত হয়েছেন। তবে কত দিনের মধ্যে তা তৈরি হবে, বাজেট কত হবে, এ সব এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

বয়স শতাব্দী ছোঁয়ার মুখে বর্ধমান-কাটোয়া রোডের উপরে পুরনো সেতুটি ভেঙে ফেলার কাজ শুরু করে রেল। বছর তিনেক আগে পুরনো রেল সেতু ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়ে দরপত্র ডাকা হয়। কিন্তু হাঁটার সেতু তৈরি নিয়ে রেলের টালবাহানায় প্রশাসন সেতু ভাঙার অনুমোদন দিচ্ছিল না। সেই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হওয়ার পরেই সেতু ভাঙার কাজে হাত দেয় রেল। প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা খরচ করে সেতুটিভাঙা হচ্ছে।

জেলা প্রশাসন ও রেল সূত্রে জানা যায়, গত বছর ২৮ মার্চ জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, পুলিশ সুপার কামনাশিস সেন, রেলের এডিআরএম (হাওড়া) ও ইঞ্জিনিয়ারেরা পুরনো সেতু পরিদর্শন করেন। সিদ্ধান্ত হয়, পুরনো রেল ওভারব্রিজ ভগ্নপ্রায়। ওই সেতুটি ভাঙা আবশ্যিক। সেখানে হাঁটার জন্য সেতু তৈরি হবে। জেলাশাসকের সই করা গৃহীত সিদ্ধান্তে জানানো হয়েছে, রেল সেতু ভাঙা ও নতুন ফুট ওভার ব্রিজ তৈরি দেড় বছরের মধ্যে শেষ করতে হবে। এই সময়ের মধ্যে কোনও যাত্রী বর্ধমান স্টেশনের ফুট ওভার ব্রিজ ব্যবহার করলে তাঁর কাছ থেকে প্ল্যাটফর্ম টিকিট নেওয়া যাবে না। এই সিদ্ধান্তের পরে রেলের সিনিয়র ডিভিশন ইঞ্জিনিয়ার (কো-অর্ডিনেশন) চিঠি দিয়ে জানান, পুরনো রেল ওভারব্রিজ ভাঙার ব্যাপারে জেলা প্রশাসন সম্মতি দিয়েছেন। এবং ওই জায়গায় ফুট ওভারব্রিজ গড়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে।

Advertisement

বর্ধমানের চার ও পাঁচ নম্বরের পুরোপুরি আর ছয় নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের একাংশের বাসিন্দাদের শহরের মূল অংশে আসতে গেলে রেল সেতু ব্যবহার করতে হয়। এ ছাড়াও বর্ধমান-কাটোয়া বাসের যাত্রীদের বড় অংশ বাজেপ্রতাপপুরের কাছে নেমে পায়ে হেঁটে বর্ধমান শহরে পৌঁছে যেতেন। কিন্তু এখন নতুন ঝুলন্ত সেতু দিয়ে বর্ধমান শহরে পৌঁছতে অনেকটা সময় লাগে। তুলনামূলক ভাবে উঁচু সেতুতে উঠতে কষ্টও হয়। আবার যানবাহন দ্রুত গতিতে যাতায়াত করায় সেতু দিয়ে পারাপার করাটা ঝুঁকিরও, দাবি তাঁদের। ওই এলাকার তৃণমূলের কাউন্সিলর নূরুল আলম (সাহেব) বলেন, ‘‘নতুন সেতু চালু হওয়ার আগে থেকে আমাদের ফুট ওভারব্রিজের দাবি রয়েছে। প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ হেঁটে বা সাইকেলে সেতুতে যাতায়াত করে। জেলা প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করে ফুট ওভারব্রিজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রেল। সেই কাজ কবে থেকে শুরু হবে, সেটাই প্রশ্ন। আমরাও রেলের কাছে চিঠি পাঠাচ্ছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE
Popup Close
Something isn't right! Please refresh.